লেভানডফস্কির জোড়া গোলে ফাইনালে বায়ার্ন
দুই গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালে যাওয়াটা তখন সহজ কাজই মনে হচ্ছিল। বায়ার্ন মিউনিখকে অবশ্য এতোটা সহজে জার্মান কাপের ফাইনালে উঠতে দিল না ওয়েরডার ব্রেমেন। শেষ পর্যন্ত রবার্ট লেভানডফস্কির জোড়া গোলে ব্রেমেনকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে হাঁপ ছেড়ে বেচেছে বায়ার্ন। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালের উঠলো রেকর্ড ১৮ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বায়ার্নের ফরোয়ার্ডরা। ফলটাও আসে দ্রুত, ৩৬ মিনিটে লেভানডফস্কির গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ৬৩ মিনিটে টমাস মুলারের গোলে দুই গোলের লিড নেয় বাভারিয়ানরা। বায়ার্ন ডাগআউটে তখন দুশ্চিন্তা ছিল না বললেই চলে।
তবে দুশ্চিন্তা এলো ব্রেমেনের দুই মিনিটের ঝড়ে। ৭৪ মিনিটে ইউয়া ওসাকো প্রথমে ব্যবধান কমান। এক মিনিট পরেই বায়ার্নের জালে আবার বল জড়ান মিলোত রাসিকা। ব্রেমেনের একের পর এক আক্রমণে তখন বায়ার্ন রক্ষণভাগ এক মুহূর্তেও জন্যও স্বস্তি পাচ্ছিল না।
বায়ার্নকে স্বস্তির গোল এনে দেন সেই লেভানডফস্কিই। ৮০ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলটাও এসেছে পেনাল্টি থেকেই। বক্সের ভেতরে কিংসলে কোমানকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। এই পেনাল্টি নিয়ে অবশ্য বিতর্ক উঠেছিল। রেফারির সাথে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও চালিয়ে গেছে ব্রেমেন ফুটবলাররা।পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি লেভানডফস্কি।
শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় বায়ার্ন। ২৫ মের ফাইনালে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ লাইপজিগ। সেই ম্যাচে জিতলে রেকর্ড ১৯তম শিরোপা জিতবে বায়ার্ন। বুন্দেসলিগাতেও শীর্ষে আছে তারা, ডাবলের স্বপ্নটা তাই অনেকটাই উজ্জ্বল।
এদিকে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে লাৎসিও। প্রথম লেগ হয়েছিল গোলশুন্য ড্র। ৫৮ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন হোয়াকিন কোরেয়া।