ম্যাচসংখ্যা নয়, আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের দীর্ঘ সফর নিয়েই চিন্তিত বাংলাদেশ কোচ
বিশ্বকাপের উত্তাপ এখনও আসতে দেরি আছে। তবে বৈশাখের উত্তাপটা খুব ভালোমতোই টের পাচ্ছেন স্টিভ রোডস। কাঠফাটা রোদ্দুরে নাভিশ্বাস বের হয়ে যাচ্ছে সবার, তবে এর মধ্যেই চলছে আয়ারল্যান্ড সিরিজের ক্যাম্প। আজ পর্যন্ত সবাই এখনো যোগ দেননি, রোডস বললেন আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে বিশ্রামের দরকার আছে সবার। তবে সামনের দুই মাসের ম্যাচের চেয়ে বরং দৈর্ঘ্য নিয়েই বেশি চিন্তিত বাংলাদেশ কোচ।
আয়ারল্যান্ড আর বিশ্বকাপ মিলে এমনিতেই এবারের সফরটা অনেক লম্বা। সব মিলে আয়ারল্যান্ড আর বিশ্বকাপ মিলে অন্তত ৬৫ দিনের সফর হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ দল এত লম্বা সময় দেশের বাইরে কাটায়নি কখনোই। রোডসও বললেন, আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে কিছুটা বিশ্রাম দরকার আছে সবার, ‘প্রথমত, আমরা ক্যাম্পের শুরুতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমিয়ে এনেছি। ডিপিএলে অনেক খেলোয়াড়ই খেলেছে, এই গরমে সেখানে প্রতিযোগিতাও হয়েছে জম্পেশ। ওদের অবশ্যই কিছুটা বিশ্রামের দরকার আছে। ওদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে তো ভালোই হতো। আমরা যারা একটু তরতাজা আছে তাদের ওপরেই বেশি জোর দিয়েছি। ভালোই কাজ হয়েছে। খেলোয়াড় কম থাকলেও কাজ কম হয়নি। এখন আর দুই দিন আছে, যেখানে আমরা সবাইকে পাব। আমার মনে হয় ৭ মে আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার আগে আমরা পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাব।’
ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স নিয়ে সেভাবে কথাই হয়নি। তবে রোডস তা ভুলে যাননি, ‘ফর্মের বিচারে নিউজিল্যান্ড ছিল খুবই হতাশাজনক। আমরা একদমই ভালো খেলতে পারিনি। মিঠুন আর সাব্বির ভালো করেছে, বলার মতো ছিল এই। হয়তো আমরা নিজেদের সেরাটা পরের দিকের জন্য রেখে দিয়েছিলাম। বিপিএলের পর খেলোয়াড়েরা একটু ক্লান্তও ছিল। টানা খেলার ধকল নেওয়াও তো কঠিন। আমার কাজ ওদের তরতাজা রাখার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করা।’
বিশ্রামের কথাটা ঘুরেফিরে চলে এলো আবারও। কাল যেমন তামিম ইকবালই বলছিলেন, আয়ারল্যান্ড সিরিজে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোটা দরকার। রোডসও সেটি মানলেন, ‘আমরা আয়ারল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলব, সেজন্য আমাদের একটু এদিক সেদিক করার কোনো সুযোগ আছে। তামিম যেমন বলেছে, কাউকে কাউকে হয়তো আমরা বিশ্রাম দিতে পারি। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের বেশি পরীক্ষা না হয়ে যায়। বেশি ধূর্ত হতে গিয়ে আবার গড়বড়ও হতে যেতে পারে। আমরা একেবারে আমূল পরিবর্তন করব না, তবে সবাইকে সুস্থ আর তরতাজা রাখার চেষ্টা করব। আমার সামনের দুই মাসে ম্যাচের চেয়ে বরং সময় নিয়েই চিন্তা বেশি। সবার মনযোগ দীর্ঘ সময় ধরে রাখা আর খেলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন সূচিটা ঠিক করব, এই জায়গাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ইংল্যান্ডে অনেক কিছুই দ্রুত বদলে যেতে পারে।