• লা লিগা
  • " />

     

    রিয়ালকে আটকে দিল গেটাফে

    রিয়ালকে আটকে দিল গেটাফে    

    ঘড়ির কাটা মিনিট ছোঁয়ার আগেই করিম বেনজেমা গোলে শট করেছিলেন। কোণাকুণি অ্যাঙ্গেল থেকে অবশ্য মেরেছিলেন বাইরে দিয়ে। তবে অমন শুরু পর গোলশুন্য ম্যাচের আশা করেছিলেন অল্প কয়েকজনই। তবে যারা বাজি ধরেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তারাই জয়ী হয়েছে। কলোসিয়াম আলফোন্সো পেরেজে গেটাফের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।



    লা লিগায় তৃতীয় স্থান প্রায় নিশ্চিতই জিনেদিন জিদানের দলের। সব হারানোর মৌসুমের শেষদিকে এসে এই ম্যাচগুলো তাই আনুষ্ঠানিকতা হয়েই দাঁড়িয়েছে। হয়ত পরের মৌসুমের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষারও। ব্রাহিম ডিয়াজ, ফ্রেডেরিকো ভালভার্দের বাজিয়ে দেখার মোক্ষম সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিলেন জিদান। দুইজনই ম্যানেজারের মন জয় করতে পেরেছেন, তবে ডিয়াজ এদের মধ্যে ছিলেন একটু বেশি উজ্জ্বল। ৩৫ মিনিটে তার পাস থেকেই আরও একবার প্রথম মিনিটের মতো আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু সেবার তার শট আগেই ব্লক করেন গেটাফের ইগনাসি মিগুয়েল। এর কিছুক্ষণ পর কর্নার থেকে মারা কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়াও ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন দলকে। ৪০ মিনিটে আরেকবার গোলের সুযোগ পান বেনজেমা। বাম দিক থেকে গ্যারেথ বেলের মাইনাসের সঙ্গে অবশ্য তাল মেলাতে পারেননি। তাই শটও নিতে পারেননি ভালোমতো। সোরিয়াই ঠেকিয়ে দেন বেনজেমার দুর্বল শট।

    অন্যপ্রান্তে কেইলর নাভাসকে প্রথমার্ধে অবশ্য খুব বেশি কিছু করতে হয়নি। তবে ৩০ মিনিটে হোর্হে মনিলার ফ্রি কিক শক্ত হাতে না ঠেকালে গোলও খেয়ে বসতে পারতেন নাভাস। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই দুইবার ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয় নাভাসকে। যদিও সেভ করতে হয়নি তাকে। একবার মলিনার ক্রস বিপদ বাড়ানোর আগেই ক্লিয়ার করেন কাসেমিরো। আরেকবার সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মাথা থেকে করা কাবেরার হেড চলে যায় ওপর দিয়ে।

    বিরতির পর নড়বড়ে মাদ্রিদ ম্যাচে ফেরে ডিয়াজের হাত ধরে। একাই ডিবক্সের ভেতর দারুণ দুই টাচে সুযোগ বানিয়ে নিয়েছিলেন। গোলের কাছাকাছি গিয়েও কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকে ফিনিশটাই কেবল করতে পারেননি তিনি। মাদ্রিদের সেরা সুযোগটাতেও ছিল ডিয়াজের অবদান। দানি কারভাহালের সঙ্গে দারুণ এক আক্রমণ সাজিয়ে শেষে গোল করার ভার পড়েছিল ইস্কোর কাছে। কিন্তু গোল থেকে ৮ গজ দূরে থাকা ইস্কোও তখন ফেরেন সোরিয়ার দারুণ এক সেভে।

    জিদানের দল অবশ্য হেসে খেলেই এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরেনি। শেষদিকে তাদেরকে আদায় করে নিতে হয়েছে ১ পয়েন্ট। ৭০ মিনিটের পর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল গেটাফে। সেরা আক্রমণটা একাই ঠেকিয়ে দিয়েছেন নাভাস। দুর্দান্ত ডাবল সেভ করে শেষ পর্যন্ত দলকে আর হারতে দেননি তিনি।

     

     

    ড্রয়ে অবশ্য গেটাফের দারুণ লাভই হয়েছে। পয়েন্ট টেবিলের চারেই রয়েছে তারা। এর আগে সেভিয়া রায়ো ভায়াকানোকে হারানোর পর এক ধাপ নেমে গিয়েছিল গেটাফে। কিন্তু সেভিয়ার সমান ৫৫ পয়েন্ট নিয়েও হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার স্বপ্নটা ভালোমতোই টিকে রইল তাদের।