বিশ্বকাপ দিয়েই বিদায় বলছেন ইয়ান গুল্ড
দেশের মাটির বিশ্বকাপ দিয়েই বিদায় বলছেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গুল্ড। বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির ঘোষিত ২২ জন ম্যাচ অফিশিয়ালের তালিকায় আছেন এলিট প্যানেলের অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার। গুল্ড ছাড়াও বিশ্বকাপ চালাবেন আরও ১৫ জন আম্পায়ার, সঙ্গে থাকবেন ছয়জন ম্যাচ রেফারি।
২০০৬ সালে আম্পায়ারিং শুরু করেছিলেন গুল্ড, এখন পর্যন্ত তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২৪৬টি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে উইকেটকিপার হিসেবে ছিলেন ১৮টি ওয়ানডে খেলা গুল্ড। তার বিদায়ে আইসিসির ক্রিকেট জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস বলেছেন, “ইয়ান এই খেলায় দীর্ঘ সময় ধরে দারুণ অবদান রেখেছে, বিশেষ করে গত এক দশক ধরে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে। সে সবসময়ই খেলাকে এগিয়ে রেখেছে, এবং সতীর্থ ও সব দেশের ক্রিকেটারের সম্মান অর্জন করেছে। মাঠের তার উপস্থিতি মিস করব আমরা, তবে আমি নিশ্চিত, এই খেলার সঙ্গে তার জীবনভর সম্পর্ক অটুট থাকবে।”
গুল্ড বিশ্বকাপ খেললেও জেতা হয়নি, যে অভিজ্ঞতা আছে তিনজন ম্যাচ অফিশিয়ালের। ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন, হয়েছিলেন ফাইনালে ম্যাচসেরা। ১৯৯৬ সালে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার ছিলেন কুমার ধর্মসেনা, ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেছিলেন পল রাইফেল। ধর্মসেনা পরে ২০১৫ সালে রিচার্ড কেটেলবোরোর সঙ্গে আম্পায়ারিং করেছিলেন ফাইনালেও। আর ১৯৯৬ সালে সেমিফাইনাল খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ছিলেন ম্যাচ রেফারি স্যার রিচি রিচার্ডসন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলা ইংল্যান্ডের সদস্য ছিলেন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ।
এলিট প্যানেলের ১২ জনের বাইরে বিশ্বকাপে থাকবেন আরও চারজন আম্পায়ার- ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন, ইংল্যান্ডের মাইকেল গফ, শ্রীলঙ্কার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে ও অস্ট্রেলিয়ার পল উইলসন।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ম্যাচ অফিশিয়াল শ্রীলঙ্কান ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে, নিজের ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপে যাচ্ছেন তিনি। ক্রিস ব্রড ও জেফ ক্রোর এটি চতুর্থ বিশ্বকাপ। আম্পায়ারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ আলিম দার, এটি তার পঞ্চম বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালে স্টিভ বাকনর ও ২০১১ সালে সাইমন টফেলের সঙ্গে ফাইনালে আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি।
ছয় জন ম্যাচ রেফারির সঙ্গে ১৬ জন আম্পায়ার চালাবেন বিশ্বকাপের ৪৮টি ম্যাচ। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কারা আম্পায়ারিং করবেন, সেটি ঘোষণা করা হবে পরে।
ম্যাচ রেফারি : ক্রিস ব্রড (ইংল্যান্ড), ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), অ্যান্ডি পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), স্যার রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
আম্পায়ার : আলিম দার (পাকিস্তান), কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), মারাইস এরাসমাস (দক্ষিণ আফ্রিকা), ক্রিস গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবোরো, ইয়ান গুল্ড, রিচার্ড ইলিংওর্থ, নাইজেল লং (ইংল্যান্ড), সুন্দরম রবি (ভারত), পল রাইফেল, রড টাকার, ব্রুস অক্সেনফোর্ড (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে (শ্রীলঙ্কা), পল উইলসন (অস্ট্রেলিয়া)