লিভারপুলের বিপক্ষে গোল দিলে উদযাপন করবেন সুয়ারেজ
আয়াক্সে প্রথম নিজেকে চিনিয়েছেন ইউরোপিয়ান মঞ্চে। তবে সত্যিকারের বড় তারকা হয়ে ওঠার বড় লাফটা দিয়েছেন লিভারপুলেই। এরপর বার্সেলোনায় জিতেছেন সম্ভাব্য সবকিছুই। সেই লিভারপুলের বিপক্ষেই আবার নিয়তি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে লুইস সুয়ারেজকে। লিভারপুলের জন্য তাঁর ভালোবাসার কমতি নেই, তারপরও সুয়ারেজ বলেছেন পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে গোল দিলে উদযাপন করবেন।
সুয়ারেজের হৃদয়ে লিভারপুলের জন্য আলাদা জায়গা থাকবে নানা কারণেই। ২০১১ থেকে ২০১৪, এই তিন বছর কেটেছে অ্যানফিল্ডে। শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দুই মৌসুমে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। শেষ মৌসুমে লিভারপুলকে অনেক দিনের অধরা শিরোপার খুব কাছাকাছিও নিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হয়নি। লিভারপুলে আসার ঠিক আগে সুয়ারেজের মেয়ে ডেলফিনার জন্ম হয়েছে, যেটির বর্ণগুলো ওলটপালট করলে হয় অ্যানফিল্ড। ছেলে বেঞ্জামিনের প্রথম দেখা স্টেডিয়াম অ্যানফিল্ড। বিতর্কও কম পোহাতে হয়নি এখানে। প্যাট্রিস এভরাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়ার জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন আট ম্যাচ। আবার চেলসির ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচকে কামড়ে দেওয়ার জন্য ১০ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে সেসব সামলে মাঠে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন। লিভারপুল ছাড়ার পরও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সুয়ারেজ এসেছেন অ্যানফিল্ডে, অনেক বারই বলেছেন ইংলিশ ক্লাবটি হৃদয়ের খুব কাছাকাছি।
কিন্তু তারপরও সুয়ারেজ পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে গোল দিলে উদযাপন করবেন কেন? উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের কাছে সেটির ব্যাখ্যা আছে, ‘আমি আগেও অনেক বার বলেছি লিভারপুলের কাছে আমি নানা ব্যাপারে কৃতজ্ঞ। কিন্তু মাঠে নামলে কে বন্ধু বা কে আমার ঘনিষ্ঠ সেটা আমার মাথায় থাকবে না। সেখানে আমি শুধু বার্সেলোনার হয়েই নামব, তাদের জন্য যা করা দরকার সবকিছুই করব।’
২০০৭ সালে সর্বশেষ কোনো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সেলোনা-লিভারপুল। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগে সেবার শেষ হাসি হেসেছিল লিভারপুলই। ১২ বছর পর ৫ মে আবার মুখোমুখি হবে দুই দল।