হেলসকে বিশ্বকাপে খেলানো নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত: নাসের হুসেইন
দুই বছর আগে বেন স্টোকসের সাথে নাইট ক্লাবের বাইরে মারমারির ঘটনায় জড়িয়েছিলেন তিনি। সেবার পার পেয়ে গেলেও এবার আনন্দবর্ধক বা 'রিক্রিয়েশনাল' ড্রাগ নেওয়ায় ফেঁসে গেছেন অ্যালেক্স হেলস। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাকে ২১ দিনের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেইন স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, এমন অবস্থায় হেলসকে বিশ্বকাপে খেলানো নিয়েও দ্বিতীয়বার ভাবার সময় এসেছে।
হেলসের নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে শুরু হয়েছে, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে ৩ মে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডের আগেই হয়ত উঠে যেতে পারে তার নিষেধাজ্ঞা, খেলতে পারেন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও। তবে হুসেইনের মতে, হেলসের ড্রাগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত ক্ষমার অযোগ্য, ‘হেলস নিজেই স্বীকার করেছে গত কয়েক বছরে সে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি সে সত্যিই এই ড্রাগ নিয়ে থাকে, তাহলে এটা বড় ভুল। আগের এরকম ঘটনা ঘটেছে। স্টোকসের সাথে ব্রিস্টলের ওই ব্যাপারটা তো আছেই। এখন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সে এক মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেল।’
ইংল্যান্ডের কোচ ও ম্যানেজমেন্ট বিশ্বকাপে হেলসকে খেলানো নিয়ে আরেকবার ভাববে, বলছেন হুসেইন, ‘এমন অবস্থায় ইসিবির কী করা উচিত? আমার মনে হয় তাদের শক্ত একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বেয়লিস ও জাইলসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ইংলিশ দলটা বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে। যদি প্রথম ম্যাচেই জেসন রয়ের পিঠের ব্যথা বেড়ে যায়, তাহলে আপনি কাকে খেলাবেন? বর্তমানে এমন অবস্থায় থাকা হেলসকে নাকি হ্যাম্পশায়ারের হয়ে ১৯০ করা জেমস ভিন্সকে? বোর্ডকে ক্রিকেটের দিকটা ভেবেই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।’
হেলসের উচিত দ্রুতই আত্মউপলব্ধি করা, মানছেন হুসেইন, ‘ইসিবি, আইসিসি কী শাস্তি দিলো, সতীর্থরা কী ভাবল; সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হেলস নিজে আসলে কী ভাবছে। একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবে সে বিশ্বসেরা হতে পারে। তাও সে কেন এমনটা করছে? নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে সে।’