আর্জেন্টিনার এমন রূপ দেখেন নি দুঙ্গা!
বুয়েন্স এইরেস থেকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের জয় নিয়ে ফেরার সর্বশেষ রেকর্ডটা ১৯৯৫ সালে। এরপর গত কুড়ি বছরে জেতা দূরে থাকুক, ওই শহরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলা কোন ম্যাচ ড্র-ও করতে পারে নি সেলেসাওরা। দীর্ঘ খরার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ (স্থানীয় সময় গতকাল) এস্তাদিও মনুমেন্টালে পয়েন্টের দেখা পেয়েছে নেইমারদের ব্রাজিল। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে খুশী সেলেসাও কোচ কার্লোস দুঙ্গা। কিন্তু তাঁর দাবী, স্টেডিয়ামের ভিতরের ‘গুমোট’ পরিবেশের ফায়দাটুকু তাঁর ছেলেরা পুরোপুরি নিতে পারে নি।
দুঙ্গা বলছেন আর্জেন্টিনার ঘরের মাঠে গ্যালারির ‘অস্বাভাবিক’ রূপ তাঁকে বিস্মিত করেছে, “জানি না আপনারা কেউ খেয়াল করেছেন কিনা, কিন্তু আমার কাছে এটা ঠিক আর্জেন্টিনার স্টেডিয়াম মনে হচ্ছিল না। গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের খুবই চিন্তিত আর চুপচাপ দেখা গেল।”
খেলার ৩৪ মিনিটে ইজাকুয়েল লাভেজ্জির গোলে এগিয়ে যাওয়া স্বাগতিকদের ৫৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরান ব্রাজিলের তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার লুকাস লিমা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
কিন্তু দুঙ্গার দাবী ‘হোম ক্রাউড’-এর নিষ্ক্রিয়তার সুবিধেটুকু পুরোপুরি নিতে পারলে ড্র নয়, জয় নিয়েই তাঁর দল মাঠ ছাড়তে পারতো, “অন্তত প্রথমার্ধে আমরা সেটা নিতে পারি নি। কিন্তু এই পরিস্থিতির সুযোগটুকু আমাদের নেয়া উচিৎ ছিল।... যাই হোক দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের উদ্যম ফিরে এসেছিল। যদিও টেকনিক্যালি চিন্তা করলে আমরা খুব ভালো খেলি নি, স্রেফ ওদের খেলায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গেছি।”
বিরতির পর দলের মধ্যমাঠে গতি ফিরে আসার প্রশংসাও করছেন ব্রাজিল বস, “প্রথম দিকে আক্রমণটা ঠিক আমাদের পক্ষে যাচ্ছিল না। বল উপরের দিকে রাখতে পারছিলাম না। এরপর আমরা মধ্যমাঠে খেলা জোরদার করলাম। এতে নেইমারের জন্য কাজটা সহজ হয়ে গেলো। কস্তা আর এলিয়াসের গতি সম্বল করে আমরা তাঁদের রক্ষণদুর্গ ভেদ করতে সমর্থ হয়েছি।”
খেলা যেমনই হোক, মূল্যবান এক পয়েন্ট পেয়ে সন্তোষ গোপন করছেন না দুঙ্গা, “ফলাফল ভালো হয়েছে। এখন আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে, যেমন খেলেছি তারচেয়ে আরও ভালো খেলতে হবে।”