• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ইঞ্চি ব্যবধানে এগিয়ে থাকল সিটিই

    ইঞ্চি ব্যবধানে এগিয়ে থাকল সিটিই    

    প্রিমিয়ার লিগে যে কয় মৌসুম খেলেছে বার্নলি, প্রতিবারই সেবারের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অন্তত একবার হারিয়েছিল তারা। এসব পরিসংখ্যানই হয়তো স্বপ্ন দেখাচ্ছিল লিভারপুলকে। বার্নলির মাঠে আজ আরেকটু হলেই হত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটিকে আরও একবার বাঁচিয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো। তার শট গোললাইন অতিক্রম করেছে এক ইঞ্চিরও কম ব্যবধানে। ২০১৮-১৯ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটি এবং লিভারপুলের দূরত্বটা যেন হয়ে থাকছে এমন সূক্ষ্ম ব্যবধানেরই। 

    প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের শেষদিকে থাকলেও শীর্ষ ৬-এর বিপক্ষে এই মৌসুমে একাধিকবার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বার্নলি। চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে রুখে দেওয়া ‘ক্ল্যারেট’রা নিজেদের মাঠ এই টার্ফ মুরেই হারিয়েছিল টটেনহাম হটস্পারকে। সিটির জন্য কাজটা যে সহজ হবে না, সেটা অবশ্য অনুমিতই ছিল।  চেলসি, ইউনাইটেডদের রুখে দেওয়াটা যে ‘ফ্লুক’ ছিল না, আজ নিজেদের মাঠে তাই প্রমাণ করেছে শন ডাইসের দল। প্রথমার্ধে আক্ষরিক অর্থেই একবারও গোলের সুযোগ পায়নি সিটি। বার্নলি গোলরক্ষক টম হিটনকে একবারও পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি সার্জিও আগুয়েরোরা।

     

     

    জয়ের বিকল্প না থাকার ম্যাচে এমন ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট থাকার কথা গার্দিওলার। ‘হাফটাইম টিমটক’-টাও হয়তো সেটিই বুঝিয়েছিলেন আগুয়েরো-সিলভাদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই স্বরূপে ফিরতে থাকে সিটি। ৪৮ মিনিটে আগুয়েরোর জোরাল শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন হিটন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ভাগ্যও সহায় হয়নি গার্দিওলার দলে, নাহলে হয়তো পেনাল্টিও পেতে পারত তারা।

    ৪৯ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার শট ডিবক্সে বার্নলি ফরোয়ার্ড অ্যাশলি বার্নসের হাতে লাগলেও পেনাল্টির বাঁশি দেননি রেফারি। ভাগ্য এবং হিটনে গোলমুখে বারবার খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছিল সিটিকে। ৫২ মিনিটে গোলমুখে জটলা থেকে সিলভার শট অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দেন হিটন। দ্বিতীয়ার্ধের সময় যত এগিয়েছে, লিড নিতে না পারায় ততটাই চিন্তিত মনে হয়েছে গেছে গার্দিওলাকে। ডাগআউটে অন্যান্য দিনের মত ধীরস্থির নয়, আজ দেখা মিলেছে শঙ্কিত গার্দিওলার। তবে শেষ পর্ন্ত হাসি ঠিকই ফুটেছে গার্দিওলার চেহারায়।

     

     

    ৬৩ মিনিটে কাইল ওয়াকারের ক্রস নিয়ন্ত্রণে এনে আগুয়েরোর জোরাল শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ম্যাট লোটন। কিন্তু গোল লাইন প্রযুক্তি দেখে শেষ পর্যন্ত গোলের বাঁশিই দিয়েছেন রেফারি। রিপ্লেতে দেখা গেছে, এক ইঞ্চিরও কম ব্যবধানে গোলে ঢুকেছিল আগুয়েরোর শট। 

     

     

    ব্যবধান আরও বাড়তে পারত সিটির। সিলভার লম্বা পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে ডিবক্সে ঢুকে পড়েন গ্যাব্রিয়েল হেসুস। হিটনকে কাটিয়ে হেসুসের নেওয়া শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন বার্নলি অধিনায়ক বেন মি। সিটির লিড ১ গোলের হওয়ায় শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে ডাইসের দল, কিন্তু সিটি রক্ষণভাগকে আর পরীক্ষায় ফেলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজেদের ভাগ্য থাকল সিটির হাতেই।