• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    শেষের নাটকে নুরেনবার্গে পয়েন্ট হারাল বায়ার্ন

    শেষের নাটকে নুরেনবার্গে পয়েন্ট হারাল বায়ার্ন    

    ১-১ গোলের সমতায় শেষ হওয়া নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগুচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু পুরো ম্যাচের চেয়েও বেশি নাটক বাকি ছিল দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে। ৯২ মিনিটে ডিবক্সে নুরেনবার্গের মার্গ্রেইটারকে ফেলে দিলেন বায়ার্ন মিউনিখের আলফোনসো ডেভিস, পেনাল্টির বাঁশি দিলেন রেফারি। নুরেনবার্গের সমর্থকদের উল্লাসের মাঝে যেন হর্ষধ্বনি ভেসে আসল ডর্টমুন্ড থেকেও, গতকাল শালকের কাছে মার্কো রয়েসরা হেরে যাওয়ার সুযোগটা হয়তো হাতছাড়া করতে চললো বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু তখনই পেনাল্টি মিস করে বসলেন নুরেনবার্গের লেইবোল্ড। হাঁফ ছেড়ে বাঁচা বায়ার্ন ৯৬ মিনিটে পেল ম্যাচ ছিনিয়ে আনার দুর্দান্ত সুযোগ, কিন্তু লেইবোল্ডের মতই দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না কিংসলে কোমান। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচে নুরেনবার্গের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন, বুন্দেসলিগা টেবিলের শীর্ষে লিডটা ১ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২-এ।

    অবশ্য শেষদিকে জয় ছিনিয়ে আনার সুযোগ হাতছাড়া করার বায়ার্নেরই হয়তো ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বেশিই। বাভারিয়ানদের বিপক্ষে লিড নিয়েছিল অবনমনের শঙ্কায় ভুগতে থাকা নুরেনবার্গই। পুরো ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারেনি বায়ার্ন। শুরুর ঘণ্টাখানেকের বিচারে বায়ার্নের ফরোয়ার্ডদের চেয়ে ম্যাচে 'উল্লেখযোগ্য' ভূমিকা বেশি ছিল তাদের সমর্থকদের। নুরেনবার্গে ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ সমর্থকদের দিকে আতশবাজি ছুঁড়ছিলেন তারা, কিন্তু সেটা মাত্রা ছাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছুক্ষণ আগে। বায়ার্ন মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকান্তারা পর্যন্ত এসে সমর্থকদের অনুরোধ করেছিলেন আতশবাজি ছোঁড়া থামাতে, দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে তাই বিলম্ব হয়েছিল মিনিট পনের।

     

     

    নিজ সমর্থকদের প্রতি বায়ার্নের এমন বৈরী আচরণে হয়তো চটেছিলেন নুরেনবার্গের ফুটবলাররা, দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর মিনিট তিনেকের মাথায়ই লিড নেয় তারা। ৪৮ মিনিটে ম্যাথিয়াস পেরেরার বাঁকানো শট বায়ার্ন গোলরক্ষক সভেন উলরিখের হাতের ফাঁক গোলে জালে জড়ালে উল্লাসে মাতে নুরেনবার্গের সবাই। টেবিলের তলানীতে ধুঁকতে থাকা ক্লাবটির সমর্থকেরা তখন মৌসুমের অন্যতম সেরা 'অঘটন'-এর স্বপ্নে বিভোর। বুন্দেসলিগাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা বায়ার্নের বিপক্ষে জয় হয়তো কল্পনাও করেননি তাদের সমর্থকেরা। কিন্তু সে স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত আর বাস্তব হয়নি।

     

     

    ৭২ মিনিটে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান সার্জ গ্ন্যাব্রি। শেষ পর্যন্ত জয়ের চেষ্টা করে গেছে বায়ার্ন, কিন্তু শেষ হাসি আর হাসতে পারেনি। কোমানের ভুলের চেয়েও হয়তো বেশি কৃতিত্ব নুরেনবার্গের গোলরক্ষক মাথেনিয়ার। দ্বিতীয়ার্ধে কোমানের মত ডেভিড আলাবা এবং হামেসের দুটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা অসাধারণ নৈপুণ্যে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জয় না পেলেও অবশ্যই স্মরণীয় এক ড্রই ছিনিয়ে এনেছে নুরেনবার্গ।

     

     

    আজকের ড্রয়ে ৩১ ম্যাচ শেষে বায়ার্নের পয়েন্ট ৭১, ডর্টমুন্ডের ৬৯। শেষ ৩ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ডর্টমুন্ডের। টানা ৭ম বুন্দেসলিগা জেতার ভাগ্য এখনও বায়ার্নের হাতেই। তবে হ্যানোভার, লাইপজিগ এবং ফ্র্যাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে বাকি ৩ ম্যাচে আজকের মত পারফরম্যান্স হলে বল চলে যেতে পারে ডর্টমুন্ডের কোর্টে, সেটা হয়তো ঠিকই জানেন বায়ার্ন কোচ নিকো কোভাচ।