• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-লিভারপুল ম্যাচে কে কত?

    প্লেয়ার রেটিং: বার্সেলোনা-লিভারপুল ম্যাচে কে কত?    

    বার্সেলোনা

     

    মার্ক আন্দ্রে টার-স্টেগান ৭/১০

    দ্বিতীয়ার্ধে সালাহর শট ফেরানো ছাড়া তেমন পরীক্ষায় পড়তে হয়নি। শেষদিকে বল দখলে আনতে ভুল করেছিলেন, কিন্তু জর্ডান হেন্ডারসনের শট নেলসন সেমেদো ফিরিয়ে দেওয়ায় সে যাত্রা বেঁচে গেছেন।

    সার্জি রবার্তো ৬.৫/১০

    সাদিও মানে বেশ ভুগিয়েছেন তাকে। এছাড়া আক্রমণে ছিলেন দারুণ, রক্ষণে বল হারাননি তেমন। 

    জেরার্ড পিকে ৭.৫/১০

    আরও এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। অসাধারণ সব ট্যাকেলে মানে-সালাহদের ফিরিয়েছেন খালি হাতে। ম্যাচে বার্সার আড়ালে থাকা পার্শ্বনায়ক।

    ক্লেমেন্ত লংলে ৬/১০

    সালাহ-মানেদের গতির সামনে বেশ ভুগতে হয়েছে। প্রথমার্ধে সালাহকে ফাউল করে দেখেছেন হলুদ কার্ড। গড়পড়তা পারফরম্যান্স।

    জর্দি আলবা ৮/১০

    অসাধারণ ছিলেন পুরোটা ম্যাচ। বিশেষ করে আক্রমণে মেসি-সুয়ারেজদের সাথে বোঝাপড়া ছিল অসাধারণ। সুয়ারেজের গোলে তার অ্যাসিস্ট ছিল দুর্দান্ত।

    সার্জিও বুস্কেটস ৮/১০

    মাঝমাঠের দখল হাতছাড়া করেননি একেবারেই। আক্রমণের সাথে রক্ষণের যোগসাজশটা করেছেন দারুণভাবে।

    ইভান রাকিটিচ ৮/১০

    আরও এক চমৎকার পারফরম্যান্স। ফাবিনহোদের কোনও সুযোগই দেননি মাঝমাঠে। প্রথমার্ধে কিছুটা স্বার্থপর হলে হয়তো পেতে পারতেন গোলও।

    আর্তুরো ভিদাল ৭.৫/১০

    খুব সম্ভবত বার্সা ক্যারিয়ারে তার সেরা ম্যাচ। রক্ষণে পিকেদের সাহায্য করেছেন বেশ। শেষদিকে অসাধারণ ট্যাকেলে মানেকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। 

    লিওনেল মেসি ৯.৫/১০

    অতিমানবীয়। অবিশ্বাস্য। প্রথমার্ধে কিছুটা নিষ্প্রাণ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ছিলেন স্বরূপে। বিশেষ করে ফ্রিকিকটা ছিল দেখার মত। বার্সার হয়ে প্রথম গোল করার ১৪ বছর পর একই দিনে করলেন ৬০০তম গোলটাও।

    লুইস সুয়ারেজ ৮.৫/১০

    এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল পাননি এতদিন। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষেই খুললেন সেই গেরো। পুরো ম্যাচে মেসির সাথে আক্রমণে ছিলেন অসাধারণ।

    ফিলিপ কুতিনিয়ো ৬.৫/১০

    চেষ্টা করে গেছেন, কিন্তু তেমন ঝলক দেখাতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে তাই হতে হয়েছে বদলি। 

     

    বদলি

    নেলসন সেমেদো ৭.৫/১০

    রক্ষণে ছিলেন ইস্পাতদৃঢ়। মানে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। লাইন থেকে শটও ফিরিয়ে দিয়েছেন দুর্দান্তভাবে।

    উসমান ডেম্বেলে ৬/১০

    ৯০ মিনিটে নামলেও মেসির দারুণ পাসে অ্যালিসনকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু গোল করতে পারেননি।

    কার্লোস আলেনা /১০

    একেবারে শেষদিকে নেমেছিলেন। খেলায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।

     

     

    লিভারপুল

     

    অ্যালিসন বেকার ৫.৫/১০

    কোনও গোলেই তেমন কিছুই করার ছিল না তার। কিন্তু বল পায়ে ফরোয়ার্ড বা মিডফিল্ডারদের পাস যোগাতে ব্যর্থই হয়েছেন।

    জো গোমেজ ৫.৫/১০

    ইনজুরি কাটিয়ে এত বড় ম্যাচ দিয়েই ফিরেছিলেন লিভারপুলের একাদশে। কিন্তু ক্লপের জুয়া কাজে দেয়নি, পুরো ম্যাচে বার্সার ফরোয়ার্ডদের পেছনে ছুটেছেন, আক্রমণেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি।  

    ভার্জিল ভ্যান ডাইক ৬/১০

    নিজের জায়গাটা সর্বোচ্চটাই করেছেন, কিন্তু মেসিময় দিনে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেননি।

    জোয়েল মাতিপ ৬/১০

    ভ্যান ডাইকের মতই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন, দুর্দান্ত ট্যাকেলে একবার ফিরিয়েছেন সুয়ারেজকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে মেসির কাছে। 

    অ্যান্ডি রবার্টসন ৭.৫/১০

    খুব সম্ভবত ম্যাচে লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড়। প্রথমার্ধে আক্রমণে ছিলেন দারুণ। দ্বিতীয়ার্ধেও পিকেদের ভুগিয়েছেন, কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ভুলে তার পারফরম্যান্স হয়ে গেছে ম্লান।

    জেমস মিলনার ৭/১০

    মাঝমাঠে লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি।

    নবী কেইটা ৬/১০

    ইনজুরির আগে বেশ ভালোই খেলছিলেন। তার উঠে যাওয়ার পরই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ হারায় লিভারপুল, শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটাই।

    ফাবিনহো ৬/১০

    কেইটা উঠে যাওয়ার পর মাঝামাঠে বুস্কেটসদের দমিয়ে রাখতে তার দিকেই তাকিয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু কাজের কাজটা আর করতে পারেননি।

    জর্জিনিও ওয়াইনাল্ডাম ৫/১০

    মানে, সালাহর পেছনে 'ফ্রি রোল'-এ একেবারেই ব্যর্থ। নিচে নেমে ফাবিনহোদের তেমন সাহায্যও করেননি। 

    মোহামেদ সালাহ ৭/১০

    ম্যাচে লিভারপুলের সেরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছেন। প্রথমার্ধে ছিলেন দারুণ, কিন্তু সময়ের সাথে হারিয়েছেন ধার।

    সাদিও মানে ৭.৫/১০

    ড্রিবলিং, গতি দিয়ে পিকেদের ভুগিয়েছেন বেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টার স্টেগানকে পরাস্ত করা হয়নি।

     

    বদলি

    জর্ডান হেন্ডারসন ৬/১০

    কেইটার বদলে নেমেছিলেন, কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেননি। রাকিটিচ, ভিদালদের সাথে শারীরিকভাবে পেরে উঠেননি একেবারেই।

    রবার্তো ফিরমিনো ৬.৫/১০

    ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠায় তাকে বেঞ্চেই রেখেছিলেন ক্লপ, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নিরূপায় হয়ে নামিয়ে দিতে হয়েছে তাকে। ফিটনেসের অভাবটা বোঝা গেছে স্পষ্ট, কিন্তু তারপরও সালাহকে গোলের দারুণ এক সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

    ডিভোক ওরিগি ৪/১০

    মাঠে তার উপস্থিতি টেরই পাওয়া যায়নি। আক্রমণে ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।