• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    আত্মজীবনীতে আসল বয়সটা জানিয়ে দিলেন আফ্রিদি

    আত্মজীবনীতে আসল বয়সটা জানিয়ে দিলেন আফ্রিদি    

    ক্রিকেটে কমবয়সী সব রেকর্ডের বেশিরভাগই উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের কেন?

    ক্রিকেটবিশ্বে ব্যাপারটা কমবেশি ‘ওপেন সিক্রেট’ যে উপমহাদেশে অনেক ক্রিকেটারের কাগজে কলমে বয়সের চেয়ে আসল বয়স বেশি। সেটা প্রকাশ্যে সবাই স্বীকার করেনও না। তবে ভুলে কেউ বলেও দিতে পারেন, যেমন দিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। নিজের আত্মজীবনীতেই বলেছেন, তাঁর জন্ম ১৯৭৫ সালে। অথচ কাগজে কলমে তাঁর জন্ম ১৯৮০ সালে। সেই হিসেবে আফ্রিদির বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে !

    এই সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে আফ্রিদির আত্মজীবনী গেম চেঞ্জার। সেখানে পাকিস্তানে ডাক পাওয়ার স্মৃতি নিয়ে বলার সময়েই আফ্রিদি লিখেছেন, ১৯৭৫ সালে তাঁর জন্ম। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন পাকিস্তান দলে। নাইরোবিতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে প্রথম বার ব্যাট করেই তোলপাড় ফেলে দেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ৩৭ বলের সেঞ্চুরিটা একসময় এমন একটা রেকর্ড মনে করা হতো, যেটা হয়তো আর কখনোই ভাঙবে না।

    সেই রেকর্ড পরে ভেঙেছে আরও দুবার। আর সেই সঙ্গে ফাঁস হয়েছে আফ্রিদির বয়সের গোমরও। ১৯৯৬ সালে আফ্রিদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল নাইরোবিতে। ওই সময় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলছিলেন। জন্ম ১৯৭৫ সালে হলে ২১ বছর বয়সে খেলছিলেন অনূর্ধ্ব ১৯ দলে। এক অর্থে আসলে ভেঙেছেন আইনই!

    তবে গোজামিল আরও আছে। আফ্রিদি নিজেই একটা লাইন লিখেছেন, ‘ওই সময় (অভিষেকের বছরে) আমার বয়স ছিল ১৯। ওরা অবশ্য ১৬ বলছিল, যা ঠিক নয়। আমি জন্মেছি ১৯৭৫ সালে, তাই কর্তৃপক্ষ আমার বয়স ভুলই লিখেছে।’ কিন্তু ১৯৭৫ সালে জন্ম হলে ১৯৯৬ সালে তাঁর বয়স ২১ হওয়ার কথা, আফ্রিদি সেটি ১৯ বললেন কেন?

     

     

    যাই হোক, জন্ম যদি আসলেই ৭৫ সালে হয় তাহলে আফ্রিদি ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন, তখন তাঁর বয়স ৪০ বা ৪১। আর ২০১০ সালে পাকিস্তানের হয়ে যখন শেষ টেস্ট খেলেছেন তখন তাঁর বয়স ৩৪-৩৫। এই মুহূর্তেই তো তাঁর বয়স ৪৪ হয়ে যাওয়ার কথা। ১৯৭৫ সালের কোন মাসে জন্ম সেটি বলেননি বলে সামান্য একটু ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। তবে একটা ব্যাপারে সন্দেহ নেই, এখন ৪৩ বা ৪৪ বছর বয়সেও খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেট। এই বিপিএলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে জিতেছেন শিরোপা, কিছুদিন আগে মুলতান সুলতানসের হয়ে খেলেছেন পিএসএল। কে জানে, ৫০ না হওয়া পর্যন্ত হয়তো খেলে যাচ্ছেন আফ্রিদি!

    বয়সের গোমর ফাঁস করে দেওয়া প্রথম পাকিস্তানি অবশ্যই আফ্রিদি নন। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ইউনুস খান সেই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ৩৪ বছর বয়সটা টি-টোয়েন্টির জন্য একটু বেশিই বুড়ো। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বয়স তখন ছিল ৩১। কাকতালীয়ভাবে, আফ্রিদির সঙ্গে ইউনুসের জন্মও তাহলে ১৯৭৫ সালেই!