লন্ডনে জিতল আর্সেনাল, জার্মানিতে চেলসির ড্র
ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এমিরেটসে ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে অবশ্য শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল গানাররা। তবে অ্যালেক্সান্ডার লাকাজেতের ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে আর্সেনালকে আবার ফিরিয়ে আনেন ম্যাচে। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংয়ের গোলে জয়ের ব্যবধান বাড়ে আর্সেনালের। আরেক সেমিফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে চেলসি।
আর্সেনালের মাঠে শুরুটা ভালো করেছিল ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের প্রথম অর্থবহ গোলের সুযোগও পেয়েছিল তারাই। আর্জেন্টাইন সেন্টারব্যাক এজিকুয়েল গ্যারায় অবশ্য ফাঁকা বারে বল মেরেছেন অনেক ওপর দিয়ে। কিন্তু এরপর আর খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভ্যালেন্সিয়াকে। গ্যারায়ের সেন্টারব্যাক পার্টনার দিয়াখবি ১১ মিনিটে এগিয়ে নেন দলকে। এর আগে সবশেষ ঘরের মাঠে আর্সেনাল গোল হজম করেছিল গ্রুপপর্বের ম্যাচে, এরপর পেরিয়ে গিয়েছে ৪৬০ মিনিট।
ফারপোস্টে কর্নার নিয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া, আরেক হেডে গোলের সামনে বল পান দিয়াখবি, পরে নিজে হেড করে করেন গোল। এরপর পারেহোও গোল বরাবর শট করেছিলেন, পিটার চেক না ঠেকালে দুই গোলেও এগিয়ে যেতে পারত ভ্যালেন্সিয়া।
শুরুর ধাক্কাটা অবশ্য দারুণভাবে সামাল দিয়েছে পরে আর্সেনাল। ৮ মিনিটের ব্যবধানে লাকাজেত করেছেন জোড়া গোল। ১৮ মিনিটে অবামেয়াং গোলের সামনে চলে গিয়েছিলেন, তার সামনে ছিলেন গোলরক্ষক আর দুই ডিফেন্ডার। ফাঁকায় থাকা লাকাজেতকে এরপর পাস বাড়ান তিনি। ফাঁকা বারে ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার করেন প্রথম গোল। এরপর বাম দিক থেকে গ্রানিত শাকার করা ক্রসে হেডে গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে নেন লাকাজেত।
বিরতির পর হ্যাটট্রিকটাও পূরণ করে ফেলতে পারতেন তিনি। কিন্তু দুইবার গোলের সামনে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন লাকাজেত। ভ্যালেন্সিয়াও ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। একবার চেক ভুল করেছিলেন কর্নার থেকে বল ধরতে। কিন্তু মুস্তাফি বল ক্লিয়ার করেন গোললাইন থেকে। আরেকবার কেভিন গ্যামেইরোকে ফেরান চেক নিজেই।
শেষে ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে সাজানো এক আক্রমণ থেকে কোলাসিনাচ বল পেয়েছিলেন বাম প্রান্তে। বলটা তুলে দিয়েছিলেন ফারপোস্টে। অবামেয়াং কঠিন অ্যাঙ্গেল থেকেই করেছেন তৃতীয় গোল।
ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে চেলসিকে বাঁচিয়েছেন পেদ্রো। ২৩ মিনিটে ফিলিপ কস্টিচের নিচু ক্রসে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন মিলা ইয়োভিচ। বিরতির ঠিক আগে রুবেন লফটাস চিকের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ের শটে গোল করে চেলসিকে ম্যাচে ফেরান পেদ্রো। জার্মানিতে হার এড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়া হয়ে গেছে চেলসির। ইউরোপা লিগে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত এখন তারা। এই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি অপরাজিত থাকার রেকর্ডও এটি।