নিন্দুকেরা অপেক্ষায় থাকে কখন আমি পেনাল্টি মিস করব: রোনালদো
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ, আছে লিগ ট্রফিসহ অনেক শিরোপাও। বছরের পর বছর ধরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নিজেকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবুও নিন্দুকের কথা যেন তার পিছুই ছাড়তে চায় না! সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়ে ধৈর্যের সীমা পার হয়ে গেছে সিআর সেভেনের। আইকন ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলছেন, তিনি যে ভালো খেলেন, সেটা প্রতি বছর প্রমাণ করতে করতে যথেষ্ট বিরক্ত।
কিছুদিন আগেই এই শতাব্দীর প্রথম ফুটবলার হিসেবে ও ইউরোপিয়ান লিগে প্রথমবার ক্লাব ক্যারিয়ারে ৬০০ তম গোল স্পর্শ করেছেন রোনালদো। জুভেন্টাসের হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমেই জিতেছেন সিরি আর ট্রফি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে আয়াক্সের কাছে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে গত তিনবার রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা রোনালদোকে।
রোনালদো বলছেন, নিজেকে প্রমাণ করতে করতে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন, ‘প্রতি বছরই নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। অস্বীকার করব না, মাঝে মাঝে আমি খুব বিরক্ত হই, ক্লান্তও বোধ করি। সত্যি বলতে এটা আপনার ওপর চাপটাও বাড়িয়ে দেয়। শুধু আমার ওপর না, আমার মা, ছেলে সবার ওপরই চাপটা থাকে। একটা পর্যায়ে নিজেকে বলতে হয়, তুমি যেমন আছ তেমনটাই থাকো।’
তিনি পাঁচবার ব্যালন ডি অর জিতেছেন, এই কথাটাও সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন রোনালদো, ‘আপনাকে বিনয়ী হতে হবে। আপনি সবকিছু জানেন না, এভাবেই চলতে হবে। যদি এমনটা করেন, তাহলেই ভালো খেলোয়াড় হতে পারবেন। জুভেন্টাসে আমি থিতু হয়ে গেছি। তারা জানে আমি রোনালদো হতে পেরেছি নিজের দিকে খেয়াল রেখেই। নাহলে পাঁচবার ব্যালন ডি অর জিতেছি কীভাবে?’
রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে আসলেও স্প্যানিশ ক্লাবটির প্রতি এখনো আগের মতো ভালোবাসাই আছে রোনালদোর মনে, ‘ট্যাক্স কর্মকর্তাদের সাথে সেই ঝামেলার কথা ভুলতে পারব না। তবে আমি মাদ্রিদে কিছু করতে চেয়েছিলাম। ক্লিনিক বানিয়ে কর্মসংস্থান করেছি। আমি জানি সেখানকার মানুষ আমকে ভালোবাসে। আমি রিয়ালকে অনেক কিছু দিয়েছি, তারাও আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। রাস্তায় মাদ্রিদ সমর্থকরা আমাকে দেখেলেই বলে, 'রোনালদো তুমি বাড়ি ফিরে এসো, এটা সবসময়ই তোমার বাড়ি থাকবে!' এটা শুনতে খুবই ভালো লাগে।'
বয়স এখন ৩৫ ছুঁই ছুঁই। অনেকেই বলছেন, রোনালদোর সেরা সময় খুব তাড়াতাড়িই ফুরিয়ে আসছে। এসব কথায় অবশ্য কান দিতে নারাজ রোনালদো, ‘মানুষ তো সবসময় এসব বলতেই থাকবে। ৩৩, ৩৪ অথবা ৩৫ বছর হওয়ার আগেই তারা বলতে থাকে ফুটবলারদের ক্যারিয়ার শেষ। আমি তাদের চমকে দিতে চাই। আমি জানি সবাই অপেক্ষা করে কখন আমি পেনাল্টি মিস করব অথবা বড় ম্যাচে খারাপ খেলব। এটা আমার জীবনের একটা অংশই হয়ে গেছে। সবসময় এটার জন্য তাই প্রস্তুত থাকি।’