• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ৯ জনের টটেনহাম হারলো শেষ মুহুর্তের গোলে

    ৯ জনের টটেনহাম হারলো শেষ মুহুর্তের গোলে    

    প্রথমার্ধ শেষের কিছুক্ষণ আগে লাল কার্ড দেখছিলেন হিউঙ মিন সন। এরপর বিরতির পর বাধ্য হয়ে ডিফেন্ডার হুয়ান ফয়েথকে নামিয়েছিলেন টটেনহাম হটস্পার ম্যানেজার মাউরিসও পচেত্তিনো। ফয়েথ মাঠে থাকতে পারলেন দুই মিনিট। লাল কার্ড দেখে টটেনহামকে ৯ জনের পরিণত করলেন তিনি। কিন্তু এরপর ওই ৯ জন নিয়েই বোর্নমাউথের সঙ্গে প্রাণপণে লড়াই করে যাচ্ছিল টটেনহাম। কিন্তু এরপরও  ৯১ মিনিটে গোল হজম করে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পচেত্তিনোর দলকে। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তাই পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা টটেনহামের পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের জায়গা নিশ্চিত হয়নি এখনও। শেষ ম্যাচে এভারটনকে হারাতে পারলে অবশ্য নিশ্চিত হয়ে যাবে সেটা। 

    ৯ জনের দল নিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথকে ভালোভাবেই আটকে রেখেছিল টটনেহাম। চার মিনিট ইনজুরি সময়ে প্রথম মিনিটে ধৈর্য্য হারিয়েছে তাদের। কর্নার থেকে ডাচ মিডফিল্ডার নাথান আকে হেডে গোল করে টটনহামের বাজে দিনটা আরও দুর্বিষহ করে তোলেন। 

    অথচ বোর্নমাউথের মাঠে শুরুটা ভালোই করেছিল টটেনহাম। আর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা ১৯ বছর বয়সী বোর্নমাউথ গোলরক্ষক মার্ক ট্রাভার্সের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। শুরুতেই হাফওয়ে থেকে করা টটেনহামের শটে গোল খেয়ে বসতে পারতেন তিনি। এরপর নিজেকে গুছিয়ে নেন ট্রাভার্স। প্রথমার্ধে ৫ বার দুর্দান্ত সেভ করে টটেনহামকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি তিনি।     

    ডেলে আলি দুইবার ফিরেছেন তার কাছে গোলবঞ্চিত হয়ে। একবার ডিবক্সের বাইরে থেকে শট করেছিলেন, আরেকবার হেড। দুইবারই এক হাতে দারুণ সেভ করেছেন ট্রাভার্স। লুকাস মউরাও  দুইবার ফেরেন। ডিবক্সের বাইরে থেকে, আরেকবার ভেতর থেকে। কিন্তু তিনি দুইবারই শট করেছিলেন পায়ে। দ্বিতীয় দফায় ওয়ান অন অন থেকেও গোল করতে পারেননি মউরা, ট্রাভার্সের দুর্দান্ত এক সেভের কারণে।

    গোল না পেয়ে হতাশ টটেনহাম এর মধ্যে একটা পেনাল্টিও হজম করতে পারত। বল ধরতে গিয়ে জশুয়া কিংকে ফাউল করে বসেছিলেন হুগো লরিস। টটেনহাম অধিনায়ক বেঁচে গেছেন। রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে সেই ঘটনা। রেফারির চোখ এড়িয়ে এরিক ডায়ারও বেঁচে গিয়েছিলেন সম্ভাব্য একটা লাল কার্ডের হাত থেকে। কিন্তু ৪৩ মিনিটে বাঁচতে পারেননি সন। আয়াক্সের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে খেলতে পারেননি। ইনজুরি জর্জরিত টটেনহাম দল তার দিকেই তাকিয়ে ছিল দুঃসময়ে। কিন্তু বল দখলের লড়াইয়ে হতাশ হয়ে পরে লের্মার গায়ে ধাক্কা দিয়ে বসেন সন। ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো এরপর দেখেন লালা কার্ড। 

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফয়েথের সঙ্গে নেমেছিলেন মুসা সিসোকোও। পরের জন মিডফিল্ডের হাল ধরলেও আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার সিম্পসনের পায়ে বুট দিয়ে স্লাইড মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। ম্যাচে টটেনহামের হারটা তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দারুণ লড়াইয়ে এরপর ফিরে এসে আবারও স্বপ্ন দেখেছিল তারা। ম্যাচ শেষে তাই হতাশাটা আরও বড়ই হয়েছে তাদের।