• লা লিগা
  • " />

     

    বালাইদোসে ব্যর্থ দ্বিতীয় সারির বার্সা

    বালাইদোসে ব্যর্থ দ্বিতীয় সারির বার্সা    

    লা লিগা শিরোপা ঘরে তোলা হয়েছে আগেই, আগামী সপ্তাহে লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। খুব সম্ভবত এখন পর্যন্ত মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি বার্সেলোনা। খর্বশক্তির বার্সাকে পেয়ে তাই সুযোগটাও হাতছাড়া করেনি সেল্টা ভিগো। এস্তাদিও বালাইদোসে ২-০ গোলে এর্নেস্তো ভালভার্দের দলকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। লা লিগায় টানা ১৪ 'অ্যাওয়ে' ম্যাচ জেতার রেকর্ডটা হারাল কাতালানরা।

     

     

    ন্যু ক্যাম্পে গত সপ্তাহে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের পরেও বার্সা যে ন্যূনতম আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না, তা প্রমাণিত হয়েছে ভালভার্দের দল বাছাইয়ে। লিগ জিতে যাওয়ায় আজকের নিতান্তই আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে আক্ষরিক অর্থেই দলকে পুরোপুরি বদলেছেন তিনি। দলে ছিলেন না লিভারপুল ম্যাচের কেউই, গোলে ইয়াসপার সিলিসেন থেকে আক্রমণে ম্যালকম-কেভিন প্রিন্স বোয়াটেং- চিরপরিচিত লাল মেরুন জার্সি গায়ে না লাগলে কাতালানদের হয়তো চেনাও হয়ে উঠত দুঃসাধ্য। লিওনেল মেসি ,লুইস সুয়ারেজদের স্কোয়াডেই রাখেননি ভালভার্দে। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় সারির দল নামানোয় বার্সার খেলায় বোঝাপড়ার অভাবটা ছিল সুস্পষ্ট।

     

     

    তবে ম্যাচের শুরুতেই বেশ বড়সড় এক ধাক্কাই খেয়েছে বার্সা। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়ে ম্যাচের ৫ মিনিটেই উঠে যেতে হয়েছে উসমান ডেম্বেলেকে। প্রথমার্ধে নখদন্তহীন বার্সার আক্রমণভাগ তেমন সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। পুরো প্রথমার্ধে গোলে মাত্র ১বার শট নিয়েছিল কাতালানরা। উল্টো সেল্টাকেই মনে হচ্ছিল ভয়ঙ্কর।

    ম্যাক্সি গোমেজ এবং নেস্তর আরাউহোকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সিলিসেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঠিকই বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিলেন আরাউহো। ৫০ মিনিটে কর্নার থেকে সিলিসেনের ভুলে জাল আরাউহো খুঁজে পেলেও ‘ভিএআর’-এ বাতিল হয়েছে গোল। রিপ্লেতে দেখা গেছে, শট নেওয়ার ঠিক আগে অফসাইডে ছিলেন মেক্সিকান ডিফেন্ডার। লিড নেওয়ার আনন্দ মুহূর্তেই মাটি হয়ে গেলেও দমে যায়নি সেল্টা। হার না মানা মনোভাবের পুরষ্কারটাও পেয়েছে তারা।

     

     

    প্রথমার্ধে সেল্টার সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। সিলিসেন না থাকলে হয়তো পেয়ে যেতে পারতেন গোলও। কিন্তু ৬৮ মিনিটে আর গোমেজকে আর আটকাতে পারেনি বার্সা। ৬৮ মিনিটে রিয়াদ ভুদেবুজের ক্রস ডিবক্সে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে সেল্টা সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়ার পরও সেল্টা রক্ষণভাগেক তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে গোলে একবারও শটই নিতে পারেনি তারা।

    এই সুযোগে কাতালানদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠিকই ঠুকে দিয়েছে সেল্টা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ‘ভিএআর’-এ বাতিল হয়েছিল গোল, শেষদিকে এসে সেই ভিডিও রেফারির সাহায্যেই পেনাল্টি পায় সেল্টা। গোমেজের শট ডিবক্সে বার্সা ডিফেন্ডার মুসা ওয়াগের হাতে লাগায় ভিডিও রেফারির সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে ভুল করেননি ইয়াগো আসপাস। শেষ পর্যন্ত বালাইদোস থেকে তাই খালি হাতেই ফিরেছে বার্সা।