ডর্টমুন্ডের ড্রয়ে শিরোপার আরও কাছে বায়ার্ন
বুন্দেসলিগার বাকি আর দুই ম্যাচ। লিগের এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে চার পয়েন্ট এগিয়ে থাকা মানে শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। বায়ার্ন মিউনিখ তাই টানা সপ্তম শিরোপা জয়ের উল্লাসের প্রস্তুতিটা নিয়ে রাখতেই পারে! হ্যানোভারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন, অন্যদিকে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও ওয়েরডার ব্রেমেনের সাথে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ড্র করেছে ২-২ গোলে।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধেই দুই গোলের লিড নেয় বায়ার্ন। ২৭ মিনিটে জসুয়া কিমিচের ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করে বাভারিয়ানদের এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানডফস্কি। এর আগে অবশ্য আরও কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন বায়ার্ন ফরোয়ার্ডরা। ৯ মিনিটে গোরেটজকা, ১১ মিনিটে কিংসলে কোমান, ১৪ মিনিটে লেভানডফস্কি, ২৫ মিনিটে থমাস মুলার; সবাইকে হতাশ করেছেন হ্যানোভার গোলরক্ষক।
৩৭ মিনিটে জেরম বোয়াটেংয়ের শটও ঠেকিয়ে দেন এসের। ৪০ মিনিটে গোরেটজকাকে আর আটকাতে পারেননি তিনি। কোমানের বাড়ানো বলে লিড দ্বিগুণ করেন গোরেটজকা। দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় হ্যানোভার, পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান জোনাথাস। চার মিনিট পরেই অবশ্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি।
শেষ বাঁশি বাজার সাত মিনিট আগে বায়ার্নের হয়ে তৃতীয় গোল করেন ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। কোমানের পাসে বল পেয়ে তার ডান পায়ের শট সহজেই এসেরকে পরাস্ত করে। ৩২ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বায়ার্ন।
অন্য ম্যাচে ব্রেমেনের বিপক্ষে ৬ মিনিটেই ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাকো আলকাসের। দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় খেলার পরিস্থিতি। ৭০ মিনিটে ব্যবধান কমান ব্রেমেনের কেভিন মোওয়াল্ড। পাঁচ মিনিট পর ম্যাচে সমতা আনেন ক্লদিও পিরাজো। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ডর্টমুন্ডকে। ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭০। তাদের পরের ম্যাচ ফরচুনার সাথে।
আগামী শনিবার লাইপজিগের বিপক্ষে জিতলেই টানা সপ্তমবারের মতো লিগ শিরোপা নিশ্চিত করবে বায়ার্ন।