• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্রাইটনে নিভে গেল আর্সেনালের স্বপ্ন

    ব্রাইটনে নিভে গেল আর্সেনালের স্বপ্ন    

    প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ চারের দৌড় অনেকটাই শেষ ধরে নিতে পারেন। হাডার্সফিল্ডের কাছে হেরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বাদ পড়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। আর্সেনালকে শেষ জায়গাটা পেতে এখন করতে হবে অবিশ্বাস্য কিছু। ব্রাইটনের সঙ্গে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়স লিগ খেলার স্বপ্নটা সাদাকালো হয়ে গেছে আর্সেনালের।

    শীর্ষ চারের লড়াইয়ে থাকা দলগুলোর মধ্যে এ সপ্তাহে কেবল জয় পেয়েছে চেলসি। পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলাটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। শেষ ম্যাচের ফলের ওপর আর তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে না। চারে নেমে যাওয়া টটেনহাম হটস্পার শেষ ম্যাচে এভারটনের সঙ্গে এক পয়েন্ট পেলে নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের জায়গাও। হেরে গেলেও  খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয় তাদের। আর্সেনাল শেষ ম্যাচে বার্নলিকে হারালে তখন টটেনহামের সমান  ৭০ পয়েন্ট হবে তাদের, তখন গোলব্যবধানে টক্কর দিতে হবে টটেনহামকে। আর্সেনালের চেয়ে আপাতত গোলব্যবধানে ৮ এ এগিয়ে আছে  তাদের নর্থ লন্ডন প্রতিবেশি। বাস্তবিত অর্থে তাই চ্যাম্পিয়ন লিগে খেলতে হবে একমাত্র ইউরোপা লিগ জয়ের পথটাই খোলা থাকল উনাই এমেরির দলের জন্য।

    অথচ এমিরেটেসে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল আর্সেনালের। ২ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাইটনের বারপোস্ট। এরপর গোল পেতেও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। আলিরেজা জাহানবাখস ডিবক্সের ভেতর ফাউল করেছিলেন। রেফারি দিয়েছেন পেনাল্টির বাঁশি। ৯ মিনিটে স্পটকিক থেকে মৌসুমের ২৬তম গোল করে পিয়ের এমেরিক অবামেয়াং দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন আর্সেনালকে।

    এরপর অবশ্য ব্রাইটনও ছেড়ে কথা বলেনি। বার্নড লেনোকে দুইবার চাপে ফেলে দিয়েছিল তারা। আর্সেনাল গোলরক্ষক চাপ সামাল দিয়েছেন, আর অন্যপ্রান্তের গোলরক্ষক ম্যাটরায়ান এরপর করেছেন দারুণ কিছু সেভ। মুস্তাফি আর অবামেয়াংয়ের নিশ্চিত দুইটি গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। ডিফেন্ডার ডাংকও দারুণ একটি ব্লক করে গোলবঞ্চিত করেন গানারদের। প্রথমার্ধে তাই এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় আর্সেনালকে।

     

     

    আর একটা গোল পেলেই হয়ত জয়টা নিশ্চিত করে ফেলত আর্সেনাল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে উলটো ব্রাইটনই আক্রমণে বেশি উজ্জ্বল। লেনোকে আরও একবার ভালো একটি সেভ করে বাঁচাতে হয় দলকে। কিন্তু ৬০ মিনিটে আর লেনোও পারেননি। ডিবক্সের ভেতর ঢুকে যাওয়া মার্চকে ফাউল করেছিলেন গ্রানিশ শাকা। সেই ফাউলে পেনাল্টি পায় ব্রাইটন। গ্লেন মারি গোল করে সমতায় ফেরান দলকে।

    আর্সেনাল আর সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেনি। ৭৩ মিনিটে অবামেয়াং সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মাথা থেকে গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। বাম দিক থেকে আসা ক্রসে তিনি শট মারেন বাইরে দিয়ে। ব্রাইটনও অবশ্য শেষদিকে জয় ছিনিয়ে নিতে পারত। মার্চের হেড লেনো ঠেকিয়ে দিয়ে আর্সেনালকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচে। কিন্তু আর্সেনাল আর শেষ মুহুর্তে আরেকটি গোল করে এমিরেটসকে আনন্দে ভাসাতে পারেনি।

    পরের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলা নিশ্চিত হয়ে ছিল ব্রাইটনের। তাই বাকি সময়টা কেবল উপভোগেরই ছিল তাদের জন্য। সেই ম্যাচেও আর্সেনালকে আটকে দিয়ে উৎসবটা আরও বড় হয়েছে তাদের। লিগে তাদের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষের জন্য অবশ্য সেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ম্যাচ তাদের!