• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ক্যাপ্টেন কম্পানিতে সওয়ার সিটির ভাগ্য থাকল নিজেদের হাতেই

    ক্যাপ্টেন কম্পানিতে সওয়ার সিটির ভাগ্য থাকল নিজেদের হাতেই    

    ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে শেষ যেবার গোল করেছিলেন, সেদিনই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা নিশ্চিত হতে পারত তাদের। কিন্তু ২০১৭-১৮ মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ভিনসেন্ট কম্পানি গোলটা শেষ পর্যন্ত হয়েছিল বৃথাই। সিটি অধিনায়ক আজ নেমেছিলেন গতবারের শিরোপা ধরে রাখার রেসে সিটির শীর্ষস্থান ধরে রাখার মিশনে। সার্জিও আগুয়েরো, রহিম স্টার্লিংরা যেদিন ব্যর্থ হলেন, সেদিন জ্বলে উঠলেন সিটির ‘ক্যাপ্টেন ফ্যানটাস্টিক’। কম্পানির এক আগুনে শটে লেস্টারকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সিটি, শেষ ম্যাচের আগে তাই সিটির ভাগ্য থাকল নিজেদের হাতেই।

    ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আজ দুই প্রান্তেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন কম্পানি। প্রথমার্ধের ৯ মিনিটে ডিবক্সে রিকার্ডো পেরেইরার শট দুর্দান্ত ব্লকে ফিরিয়ে দেন কম্পানি। নিজেদের স্বভাবসুলভ পাসিং ফুটবল লেস্টারের রক্ষণব্যুহ ভেদ করতে পারবে না সিটি, সেটা বোঝা যাচ্ছিল ম্যাচের শুরু থেকেই। সাবেক লিভারপুল ম্যানেজার ব্রেন্ডন রজার্সের ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে বারবার খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল আগুয়েরো-স্টার্লিংদের। তবে প্রতি-আক্রমণে খেলা লেস্টারও ছাড় দিয়ে কথা বলেনি।

     

     

    প্রথমার্ধে গোলের প্রথম সুযোগ তৈরি করতে সিটির সময় লেগেছিল ৩২ মিনিট। ইলকে গুন্ডোয়ানের কর্নার থেকে আগুয়েরোর হেড ক্রসবারে লাগলে ফিরতি বল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লেস্টার গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মেইকেল। গত সপ্তাহে বার্নলির বিপক্ষে কয়েক ইঞ্চির জন্য গোল পেয়েছিলেন আগুয়েরো, এবার সেই কয়েক ইঞ্চির হয়ে দাঁড়াল তার এবং গোলের মাঝে ব্যবধান। প্রথমার্ধে লিড নিতে ব্যর্থ হওয়া সিটির পিঠ ততক্ষণে ঠেকে গেছে দেয়ালে। খুব সম্ভবত ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ‘হাফটাইম টিমটক’টাই দরকার ছিল গার্দিওলার। স্প্যানিশ কোচের কথায় অবশ্য কাজ হয়েছিল ঠিকই।

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই লেস্টারকে চেপে ধরতে থাকে সিটি। ৫৩ মিনিটে লিড নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল সিটি, কিন্তু গোলের কয়েক গজ সামনে থেকে স্টার্লিংয়ের হেড চলে যায় গোলের উপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও স্মেইকেলকে পরাস্ত করতে পারছিলেন না আগুয়েরোরা। ৬২ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়েরকজে কাটিয়েও ডেনিশ গোলরক্ষকের অবিশ্বাস্য সেভে আবারও হতাশ হতে হয়েছে আগুয়েরোকে। প্রথমার্ধে নিজেদের অর্ধে দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্য। এবার গোলের আশায় মরিয়া সিটির হয়ে প্রতিপক্ষ অর্ধেও জ্বলে উঠলেন কম্পানি।

     

     

    ৬৯ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ থেকে দুর্দান্ত এক শটে স্মেইকেলকে পরাস্ত করেন তিনি, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তখন কান পাতা দায়। গার্দিওলার মাথায় হাত, তবে স্প্যানিশ কোচের চোখেমুখে সে বিস্ময় হতাশার নয়, বরং অবিশ্বাসের। একজন সেন্টারব্যাক থেকে হয়তো এমনটা আশা করেননি গার্দিওলাও। তবে গোল হজম করলেও শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছে লেস্টার। আরেকটু হলেই সিটির উৎসবমুখর পরিবেশ মৃত্যু পুরিতে পরিণত করতে পারতেন সাবেক সিটি স্ট্রাইকার কেলেচি ইহিয়ানাচো। কিন্তু চৌধুরির দুর্দান্ত থ্রু পাসে প্রথম টাচেই ইহিয়ানাচোর নেওয়া শট চলে যায় এডারসনের গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ঠিকই দাঁতে দাঁত চেপে জয় ছিনিয়ে এনেছে গার্দিওলার দল। আগামী সপ্তাহে ব্রাইটনের বিপক্ষে জিতলেই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা পুনরোদ্ধারের এই দুর্দান্ত মিশনে সফল হবে ‘সিটিজেন’রা।