'এমন বিদায় আয়াক্সের প্রাপ্য নয়'
তাঁর নেতৃত্বে এই মৌসুমে আয়াক্স পাড়ি দিয়েছে অবিশ্বাস্য এক পথ। ২৩ বছর পর দলকে ফাইনালে নেওয়া থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের দূরত্বে দাড়িয়ে ছিলেন ১৯ বছর বয়সী ডি লিট। তাঁর ও আয়াক্সের স্বপ্নটা চুরমার করে ৯৫ মিনিটে গোল করলেন টটেনহামের লুকাস মউরা, অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে থেকেই ফাইনালে গেলো স্পার্স। মউরার গোলের পর হতাশায় মুখ ঢেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন আয়াক্স ফুটবলাররা। ডি লিট বলছেন, এমন স্বপ্নযাত্রার পর এরকম বিদায় আয়াক্সের প্রাপ্য নয়।
ঘরের মাঠে আয়াক্সকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডি লিটই। এরপর হাকিম জিয়েচের গোলে যখন দুই লেগ মিলিয়ে তিন গোলের লিড নেয় আয়াক্স, ফাইনালে ওঠা তখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। তবে তখনও যে বাকি ছিল 'মউরা ম্যাজিক'। অবিশ্বাস্য এক হ্যাটট্রিক করেই আয়াক্সের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন তিনি। মউরার শেষ গোলটা এসেছে ৯৫ মিনিটে।
মউরার গোলের পর ভেঙে পড়েছিলেন আয়াক্সের সবাই। ডি লিট বলছেন, এত ভালো খেলার পর এরকম বিদায় তাদের প্রাপ্য নয়, ‘পুরো ম্যাচ যদি দেখে কেউ, তাহলে তারা বুঝবে এভাবে বাদ পড়া আমাদের প্রাপ্য না। প্রথমার্ধে আমরাই সেরা দল ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্যভাবে বাদ পড়তে হলো। আমাদের সবার স্বপ্নটা ভেঙে গেছে। ফাইনালে খেলতে পারলে খুব ভালো লাগতো, সেটা আর হচ্ছে না। সমর্থকরা সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে, শেষ বাঁশি বাজার পরেও।’
চ্যাম্পিয়নস লিগের আশা তো শেষ। আয়াক্সের সামনে এখনো বাকি আছে ডাবল জয়ের স্বপ্ন। ডাচ লিগে শেষ দুই ম্যাচে জিতলেই শিরোপা উঠবে ডি লিটের হাতে। সেমির হতাশা ভুলে লিগেই মনোযোগ দিতে চান তিনি, ‘আমরা টটেনহামের বিপক্ষে খুব সহজেই গোল হজম করেছি, এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এখন এটা অতীত, এখনো লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে দুটি ম্যাচ জিততে হবে। এটাই এখন দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’