কুতিনিয়োকে মৌসুম শেষে বিক্রি করবে বার্সা?
১৬০ মিলিয়ন ইউরোতে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল বার্সেলোনা। ফিলিপ কুতিনিয়োর ট্রান্সফার ফি এখন পর্যন্ত ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। তবে গত দুই মৌসুমে বার্সেলোনাতে নিজের নামের সাথে সুবিচার করতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে বার্সেলোনার বিদায়ের পর গুঞ্জন উঠেছে, এই মৌসুম শেষেই কুতিনিয়োকে বিক্রি করে দেবে বার্সা।
এই মৌসুমের মাঝপথ থেকেই কুতিনিয়োর ফর্মের গ্রাফ নিম্নমুখী। কুতিনিয়ো এবার লিগে খেলেছেন ৩৩টি ম্যাচ, গোল পেয়েছেন মাত্র পাঁচটি, অ্যাসিস্ট দুটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছেন ১২টি ম্যাচ, গোল পেয়েছেন তিনটি। শেষ ২২ ম্যাচে বল জালে জড়িয়েছেন মাত্র একবার। লিভারপুলের বিপক্ষে সেমির দুই লেগেই তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে এক ঘণ্টার আগেই।
ইএসপিএনকে বার্সার একটি সূত্র বলছেন, এটাই কুতিনিয়োর বার্সাতে শেষ মৌসুম, ‘কুতিনিয়ো আর বার্সাতে খেলবে না ভবিষ্যতে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত করা হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে।’ কুতিনিয়োকে বিক্রি করে নতুন কাউকে কিনতে চায় বার্সা। কুতিনিয়ো চলে গেলে তা বিশাল অংকের বেতনটাকে অন্য কোথাও কাজে লাগাতে চায় কাতালানরা।
বার্সা সমর্থকদের সাথেও কুতিনিয়োর সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না। ঘরের মাঠে তাকে বহুবার দুয়ো দিয়েছে সমর্থকরা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোল করে উদযাপনের সময় সমর্থকদের চুপ থাকার ইঙ্গিতও করেছিলেন। পরের ম্যাচে আবার তাকে দুয়ো দেয় সমর্থকরা। এতে চটেছিলেন লিওনেল মেসিও, কুতিনিয়োকে দুয়ো না দিতে আহবান জানিয়েছিলেন তিনি ।
এদিকে কুতিনিয়োর মতো ভাগ্য ঝুলে আছে কোচ এরনেস্তো ভালভার্দেরও। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে টানা দুইবার এভাবে বিদায়ের পর বার্সা সমর্থকরা স্বভাবতই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। বার্সা সমর্থকরা ভালভার্দেকে কীভাবে গ্রহণ করেন পরের লিগ ম্যাচে, সেটার দিকেই তাকিয়ে আছে ক্লাব, জানিয়েছে ক্লাবের একটি সূত্র, ‘ভালভার্দে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেন সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। সমর্থকরা খুবই হতাশ। গেটাফের বিপক্ষে ম্যাচে কীভাবে তাকে গ্রহণ করে সমর্থকরা, সেটা নিয়েই ভাবছে সবাই।’