• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ফিঞ্চের ভরসা 'বিশ্বকাপজয়ী'রা

    ফিঞ্চের ভরসা 'বিশ্বকাপজয়ী'রা    

    নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে জয় দিয়ে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচের মতো এবারও অপরাজিত ছিলেন স্টিভ স্মিথ, অবশ্য এবার তার ইনিংস কাজে লেগেছে। উইল ইয়াংয়ের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পরও স্মিথের অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে ডি-এল পদ্ধতিতে অস্ট্রেলিয়া একাদশ জিতেছে ১৬ রানে। 

    এ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলছেন, শিরোপা ধরে রাখার মিশনে তিনি ভরসা করছেন গতবারের বিশ্বকাপজয়ী অভিজ্ঞ ছয়জনের ওপর। দেশের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন দল থেকে এবারের স্কোয়াডে ফিঞ্চ ছাড়াও আছেন আরও পাঁচজন- স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। 

    স্মিথ জ্বলে উঠলেও অবশ্য আইপিএল ফর্মটা এখনও টেনে আনতে পারেননি ওয়ার্নার, তিন ম্যাচে করেছেন ৩৯, ০ ও ২। তিন ম্যাচে তিন রকম ওপেনিং জুটি খেলিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারের সঙ্গে খেলেছেন উসমান খাওয়াজা ও অ্যারন ফিঞ্চ, পরের দুজন নেমেছিলেন এক ম্যাচে। তবে বিশ্বকাপে কারা ওপেন করবেন, এটা এখনও নিশ্চিত করেনি অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের মতে, “এরকম কিছু প্রশ্নের জবাব খোঁজা বাকি তাদের এখনও”। 

    অবশ্য ফিঞ্চের ভরসা অভিজ্ঞতা, “আমার মনে হয় এটা একটা বাড়তি সুবিধা- বিশ্বকাপ জিততে কী লাগে, এমন একটা অভিযানে নিজেদের তৈরি করা যে বেশ শক্ত কাজ সেসব জানা। আপনাকে সেরাটা দিতে হবে, একই সঙ্গে কিছুই হাতছাড়া করা যাবে না। ছয়জন আছে, যারা বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের কাজে লাগবে। সেখানে কী আশা করা যায়, সেখানে যাওয়ার অনুভূতি কেমন- এগুলো তো আলাদা।” 

    স্মিথ-ওয়ার্নারের দলে ফেরা নিয়ে অনেক আলোচনার পর অবশেষে অস্ট্রেলিয়া এখন কথা বলতে পারছে শুধুই বিশ্বকাপ নিয়ে, ফিঞ্চকে স্বস্তি দিচ্ছে এটাও, “যখন এসব নিয়ে অনেক কথা হয়, এরপর এটা সত্যি সত্যি ঘটে তখন সেটা স্বস্তির ব্যাপার। সবাই একত্র হয়েছে, সবাই দারুণ আছে, প্রস্তুতিতে সবাই মুখিয়ে আছে। বিশ্বকাপ আসলেই জীবনে একবার ঘটে এমন একটা ব্যাপার, সেটা হলে দারুণ হবে ব্যাপারটা।” 

     

     

    স্মিথের ব্যাটিং-ও মুগ্ধ করেছে ফিঞ্চকে, "তার টাইমিং আর ক্লাস ফিরে এসেছে। যেন সে কোনোদিন বাইরে ছিলই না, এমন একটা ব্যাপার। যে উইকেটে টাইমিং করা বেশ কঠিন, সেখানেই তার ফ্রন্টফুটে ড্রাইভ ছিল অসাধারণ। সে যতোখানি সময় ক্রিজে কাটিয়েছে, তার গিয়ার বদলেছে- সেসব সত্যিই চমৎকার ছিল।"

    ব্রিসবেনে প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষেই অস্ট্রেলিয়া রওনা হয়েছে তুরস্কের দিকে, সেখানকার শহর গালিপলির উদ্দেশে। ২০০১ সালে অ্যাশেজজয়ী স্টিভ ওয়াহর দল করেছিল এমনটিই। তুরস্ক থেকে ফিঞ্চের দলে যুক্তরাজ্য যাবে পরের সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে। 

    ১ জুন ব্রিস্টলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া।