টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ জিতল গার্দিওলার সিটি
টানা দ্বিতীয় শিরোপা সিটির
৯৮ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত ৯৮ পয়েন্ট দরকার হলো ম্যানচেস্টার সিটির শিরোপা ধরে রাখতে। লিভারপুল পুরোটা মৌসুম তাদের পিছু নিয়েছিল। তারা শেষ করল ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে। ব্রাইটনকে ৪-১ গোলে হারিয়ে পেপ গার্দিওলার টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে।
১০ বছর পর ইংল্যান্ডে কোনো দল ধরে রাখল শিরোপা। অ্যানফিল্ডে ম্যাচ শেষেও সমর্থকেরা উল্লাস করছেন। উলভসকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এর বেশি কিছু কি করতে পারত লিভারপুল?
আগুয়েরোকে আর্মব্যান্ড দিয়ে মাঠ ছাড়লেন কম্পানি
শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আগে খানিকটা সময় বিশ্রাম নিতে মাঠ ছাড়ছেন ভিনসেন্ট কম্পানি। লেস্টার সিটির বিপক্ষে তার দুর্দান্ত গোলটা বোর অবদান রাখল সিটির শিরোপা জয়ে। সিটির অধিনায়কের আর্মব্যান্ড আপাতত বাকি সময়ের জন্য নিয়েছেন আগুয়েরো।
ব্রুনোকে বিদায় দিল ব্রাইটন
৩৮ বছর বয়সে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ব্রাইটনের ব্রুনো। বদলি হয়ে মাঠ ছাড়লেন, তাঁর জায়গায় নেমেছেন মার্টিন মনতোয়া। রেলিগেশন বাঁচানো হয়ে গেছে, শেষের এই মুহুর্তটা তাই ব্রাইটনের জন্যও উৎসবের।
গোল! লিভারপুল!
৮৩ মিনিটে রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে হেড করে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন সাদিও মানে। সিটি ৪-১ গোলে এগিয়ে থাকায় তেমন কিছু পরিবর্তন হচ্ছে না লিভারপুলের, কিন্তু সালাহ এবং অবামেয়াং-এর সমান ২২ গোল নিয়ে এবারের প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন সেনেগালের ফরোয়ার্ড।
উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে নামছেন ডি ব্রুইন
এমেক্স স্টেডিয়ামে এখন সিটি সমর্থকেরা গান গাইছেন গলা ছেড়ে। এর মধ্যে কেভিন ডি ব্রুইন সুযোগ পাচ্ছেন শেষ কিছুক্ষণ খেলার। ৭৭ মিনিটে ডেভিড সিলভার বদলি হয়ে নামছেন তিনি।
ব্রাইটন ১-৪ ম্যান সিটি
২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পেয়েছিল সিটি। ইলকে গুন্ডোয়ান পুরো ম্যাচেই ভালো খেলছিলেন। এবার গোলও পেয়ে গেলেন। দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে ব্যবধান ৪-১ করেছেন তিনি। ৭২ মিনিটে ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে গেছে সিটজেনরা।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতা এখন সময়ের ব্যাপার ম্যান সিটির জন্য।
গোল! সিটি!
এক মাস পর মাঠে নেমেছিলেন মাহরেজ। গার্দিওলা একরকম জুয়াই খেলেছিলেন। ডিবক্সের ঠিক সামনে বল পেয়েছিলেন। একবার কাটিয়ে ডাঙ্ককে ছিটকে ফেলেছেন। সামনে খালি হওয়া জায়গায় ডান পায়েই শট করেছেন। ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত ওই গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সিটি। শিরোপাটা এখন দেখতে পাচ্ছে গার্দিওলার দল।
অন্য ম্যাচে ৬৩ মিনিটে প্রতি-আক্রমণে মানের ক্রস কোডি ব্লক করলে ফিরতি বল ডিবক্সে পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডিভক অরিগি। নইলে ব্যবধানটা দুই গোলের হতে পারত লিভারপুলের। সেটা অবশ্য অর্থহীন হয়ে পড়ছে সময়ের সঙ্গেই।
৬০ মিনিট, লিভারপুল ১-০ উলভস, ম্যান সিটি ২-১ব্রাইটন
অ্যানফিল্ডে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটে আক্রমণে সরব উলভসই। সালাহ-মানেদের দমিয়ে রাখা উলভস আক্রমণে এগিয়ে আছে, কিন্তু গোলমুখে অ্যালিসনকে তেমন পরিক্ষায় ফেলতে পারেননি।
৫৫ মিনিট
ফ্রি কিক পেতে পারত ব্রাইটন। সিক্স ইয়ার্ড বক্সের ভেতর। লাপোর্তের লব করে পাস দিয়েছিলেন এডারসনকে। সেটা অবশ্য ব্যাকপাস মনে হয়নি রেফারির কাছে। বেঁচে গেছে সিটি।
৫০ মিনিট
অ্যানফিল্ড থিতিয়ে গেছে কিছুটা। কাউন্টার অ্যাটাকে উলভস ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করছে। অন্য ম্যাচে খেলার গল্পটা একইরকম। ব্রাইটন জান বাজি রেখে ডিফেন্ড করে যাচ্ছে সিটির বিপক্ষে। এর মধ্যে অবশ্য এডারসন এবার হোঁচট খেয়েছিলেন ডিবক্সের সামনে। অবশ্য বিপদ হতে দেনি কম্পানি, লাপোর্তরা।
হাফটাইম
শেষদিনের শিরোপা রোমাঞ্চ যতখানি নাটকীয় হওয়ার কথা ছিল হচ্ছে তেমনটাই। অ্যানফিল্ডে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। এরপর অ্যানফিল্ড আরও একবার আনন্দে ভেসেছিলেন ব্রাইটন এগিয়ে যাওয়ার পর। কিন্তু সেই ধাক্কা সামাল দিয়েছে সিটি। সার্জিও আগুয়েরো দুই মিনিটের ভেতরই ফিরিয়ে এনেছিলেন দলকে। এরপর ৩৮ মিনিটে কর্নার থেকে গোল করে আইমেরিক লাপোর্তে ব্যবধান ২-১ করেছেন। প্রথমার্ধ শেষে তাই আপাতত সিটির পয়েন্ট ৯৮ আর লিভারপুলের ৯৭।
ক্রসবারে প্রতিহত উলভসের শট!
৪৩ মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে ম্যাট ডোহার্টির শট অ্যালিসনকে পরাস্ত করলেও ক্রসবারে লেগে চলে গেল মাঠের বাইরে, অ্যানফিল্ডে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে লিভারপুল। প্রায় একই সময় ডাঙ্ক ফ্রি কিক নিয়েছিলেন অন্য ম্যাচে। এডারসন প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও, পড়ে সেভ করেছেন। কর্নার পাওয়ার কথা ছিল ব্রাইটনের, তবে তাঁর আগেই সময় শেষ হয়ে গেছে প্রথমার্ধের।
স্টার্লিংয়ের ক্রস বিসোমার ক্লিয়ার
৪১ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর বাম পাশ থেকে ভালো ক্রস করেছিলেন স্টার্লিং। গোলের সামনে থেকে সেটা ক্লিয়ার করেছেন বিসোমা।
গোল! লিভারপুলকে হতাশ করে এগিয়ে গেল সিটি, ব্রাইটন ১-২ সিটি
আইমেরিক লাপোর্তের হেডে গেল সিটি। কর্নার থেকে ৩৮ মিনিটে গোল করেছেন সিটি ডিফেন্ডার। মাহরেজই করেছেন ক্রসটা।
আরও একবার সিটিকে ফেরালেন রায়ান
ফারপোস্টে ক্রস করেছিলেন জিনচেঙ্কো, সিলভাও হেড করেছিলেন, তবে রায়ান আরও একবার বাধা হয়ে দাঁড়ালেন।
আগুয়েরোরোওওও...
শিরোপার লড়াইয়ে নাটকীয়তা বাড়ছেই কেবল। সার্জিও আগুয়েরো ২৮ মিনিটে গোল করে সিটিকে ফিরিয়ে এনেছেন ম্যাচে। ১-১ গোলে সমতা ম্যাচে। তবে এভাবে থাকলেও লিভারপুলই জিতছে শিরোপা। সমতায় ফিরতে সিটি সময় নিল মাত্র ৮৩ সেকেন্ড।
এই গোলে লিভারপুল কিংবদন্তী রবি ফাউলারকে ছাড়িয়ে গেলেন আগুয়েরো। প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন আর্জেন্টাইন।
গোল ব্রাইটন!
কর্নার হেডে গ্লেন মারি গোল করে সিটিকে পিছিয়ে দিলেন ম্যাচে। সিটিজেনরা পিছিয়ে গেল এক গোলে।
মাহরেজের ক্রসে বিপদ হতে দিলেন না রায়ান
২২ মিনিটে প্রথমবারের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন মাহরেজ। বাম দিক থেকে ভালো একটা ক্রস করেছিলেন। আগুয়েরোও ছিলেন জায়গা মতো। গোলরক্ষক রায়ান ক্লিয়ার করেছেন ক্রস।
গোল, মানে!
অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রসটা উলভস খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মাথায় গিয়েছিল।সেখানে ছিলেন সাদিও মানে। ডান পায়ের শটে গোল করে এগিয়ে নিলেন লিভারপুলকে। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল ১-০ উলভস। গোলশূন্য সিটির ম্যাচ।
আপাতত শীর্ষে উঠে গেল লিভারপুল। এভাবে থাকলে শিরোপা যাচ্ছে তাদের ঘরেই।
স্টার্লিংয়ের ক্রস আগুয়েরোর জন্য নয়
বের্নার্দো সিলভাই সবচেয়ে উজ্জ্বল সিটির আক্রমণে। তিনিই ডিবক্সের ঠিক ডান পাশে বল দিয়েছিলেন স্টার্লিংকে। তাঁর ক্রসে হেডও করেছিলেন আগুয়েরো। তবে ক্রসটা তার জন্য নাগালের বাইরে ছিল। ঠিকঠাক পেলে গোল পেয়ে যেতে পারতেন ১২ মিনিটে।
ছেড়ে কথা বলছে না ব্রাইটন
আলি রেজা জাহানবাখসের ২৫ গজ দূর থেকে করা শট অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস করেছে। দ্রুত গোলের জন্য হন্যে হয়ে খেলছে সিটি। তবে ব্রাইউটনের কাউন্টার অ্যাটাক স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না সিটি ডিফেন্ডারদের। ১০ মিনিট শেষে দুই ম্যাচই চলছে গোলশূন্যভাবে।
বল হারিয়ে আবার নিজেই উদ্ধার করলেন বিসোমা
বের্নার্দো সিলভার কাছে বল হারিয়েছিলেন। সিলভাও বল নিয়ে দুইজনকে কাটিয়ে চলে গিয়েছিলেন গোলের কাছে। কিন্তু পড়ে বিসোমাই আবার ব্লক করেছেন সিলভার শট।
প্রথম সুযোগ অ্যানফিল্ডে
ম্যাচের ৫ মিনিটে মাটিপের বাড়ানো লং বল ডিবক্সের ভেতর পেয়েছিলেন অরিগি। প্রথম সুযোগ। শট করেছিলেন গোলে, অবশ্য উলভস গোলরক্ষককে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
প্রিমিয়ার লিগের শেষদিনেি নিষ্পত্তি হচ্ছে শিরোপার। অ্যানফিল্ডে উলভসের সঙ্গে খেলতে নামছে দুইয়ে থাকা লিভারপুল। আর শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি খেলবে ব্রাইটনের বিপক্ষে এমেক্স স্টেডিয়ামে। দুই দলকে আলাদা করে রেখেছে ১ পয়েন্ট। ব্রাইটনকে হারিয়ে দিলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতবে পেপ গার্দিওলার দল। ড্র কিংবা হেরে গেলে, আর লিভারপুল উলভসের বিপক্ষে জিতে গেলে ২৮ বছর পর শিরোপা জিতে যাবে লিভারপুল।
শিরোপার নিষ্পত্তি এর আগেও হয়েছে শেষদিনে। নাটকীয় সমাপ্তিও দেখেছে লিগ, ম্যাচ শুরুর আগে সেই গল্পগুলোয় চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। পড়ুন, অ্যানফিল্ড থেকে আগুয়েরো শেষদিনের শিরোপা রোমাঞ্চ
মাহরেজকে দলে ফেরালেন গার্দিওলা
ব্রাইটনের বিপক্ষে রিয়াদ মাহরেজকে একাদশে ফিরিয়ে এনেছেন পেপ গার্দিওলা। রাহিম স্টার্লিং আর সার্জিও আগুয়েরোর সঙ্গে শুরু করছেন তিনি ফ্রন্ট থ্রিতে। প্রায় এক মাস পর একাদশে ফিরলেন আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।
সাবস্টিটিউশনে অবশ্য অনেকগুলো অপশন আছে গার্দিওলার হাতে। গ্যাব্রিয়েল হেসুস, কেইভ ডি ব্রুইন, লিরয় সানেরা সবাই আছেন বেঞ্চে।
একাদশ
ম্যান সিটি
এডারসন, ওয়াকার, কম্পানি, লাপোর্তে, জিনচেঙ্কো, বের্নার্দো সিলভা, গুন্ডোয়ান, ডেভিড সিলভা, মাহরেজ, আগুয়েরো, স্টার্লিং
শুরু থেকেই আছেন সালাহ
মোহামেদ সালাহ ফিরেছেন লিভারপুল দলে। অ্যানফিল্ডে ম্যাচের জন্য অনুমিত একাদশটাই নামিয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।
একাদশ
লিভারপুল
অ্যালিসন, আর্নল্ড, মাটিপ, ভ্যান ডাইক, রবার্টসন, ফাবিনহো, ওয়াইনাল্ডাম, হেন্ডেরসন, মানে, অরিগি, সালাহ