আনোয়েতায় অসহায় ১০ জনের রিয়াল মাদ্রিদ
মৌসুমের শুরুতে নিজেদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল সোসিয়াদাদের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৮-১৯ মৌসুমের শেষদিকে এসে রিয়ালের ম্যাচগুলো নিছক আনুষ্ঠানিকতারই। টেবিলের তিন নম্বরে জায়গা পাকা, কোপা ডেল রে বা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে আগেই। সোসিয়াদাদের মাঠ আনোয়েতায় তাই বার্নাব্যুতে হারের প্রতিশোধটাই ছিল রিয়ালের অনুপ্রেরণা। কিন্তু সে কাজে ব্যর্থই হয়েছে জিনেদিন জিদানের দল। আনোয়েতায় ৩-১ গোলে হেরে গেছে তারা।
একপেশে হারের ম্যাচে শুরুটা দারুণই হয়েছিল রিয়ালের। গ্যারেথ বেলের বদলে গত দুই ম্যাচে মূল একাদশে নেমেছিলেন ব্রাহিম দিয়াজ। আজ ম্যাচের ৬ মিনিটে করিম বেনজেমার পাস থেকে রিয়ালকে লিড এনে দেন তিনি। তবে নিজেদের মাঠে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি সোসিয়াদাদ। ম্যাচের ২১ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত তারা।
সাবেক রিয়াল স্ট্রাইকার উইলিয়ান হোসের ক্রসে হেড করে মিকেল ওয়ারজাবাল বল জালে পাঠালেও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। 'ভিএআর'-এর শরণাপন্ন হলেও বদলায়মি সিদ্ধান্ত। তবে এজন্য সোসিয়াদাদকে ভুগতে হয়নি খুব একটা। ২৬ মিনিটেই সেই উইলিয়ান হোসের পাস থেকেই দলকে সমতায় ফেরান মিকেল মেরিনো। লিড হারানো রিয়ালের জন্য তখনও অপেক্ষা করছিল আরও দু:সংবাদ।
৩৮ মিনিটে হোসের শট লাইন থেকে হাত দিয়ে ফিরিয়ে দেন রিয়াল ডিফেন্ডার হেসুস ভায়েহো। পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। কিন্তু ১২ গজ থেকে হোসের পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। লা লিগায় এবারই প্রথম পেনাল্টি বাঁচালেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে অফসাইডে গোল বাতিল হলেও সেজন্য ভুগতে হয়নি সোসিয়াদাদকে। পেনাল্টি মিসে লিড নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেও ভুগতে হয়নি তাদের। ৫৭ মিনিটে 'হিরো' থেকে 'জিরো' বনে যান পেনাল্টি ফেরানো কর্তোয়া।
তার ভুলেই হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন জালদুয়া। মিনিট দশেক পরই রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অ্যান্ডার বারেনচিয়া। ৬৭ মিনিটে মুনোজের ক্রসে ওয়ারজাবালের শট বারে প্রতিহত হলেও ফিরতি বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি তিনি। ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও তেমন আক্রমণ গড়তে পারেননি। উল্টো ৮৫ মিনিটে আদনান ইয়ানুজাইয়ের শট ক্রসবারে প্রতিহত না হলে আরও বড় ব্যবধানে হারত রিয়াল। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এবারই প্রথম লিগে রিয়ালের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচেই জিতল সোসিয়াদাদ।