অর্থ জালিয়াতিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ সিটি?
৯৮ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁরা, আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলাটাও নিশ্চিত হয়েছে আরও আগেই। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটিকে সামনের মৌসুমে এই টুর্নামেন্টে নাও দেখা যেতে পারে! সিটিজেনদের অর্থনৈতিক জালিয়াতির ব্যাপারে তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং সংস্থা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে সিটি।
সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৫ সালে তাঁরা ক্লাবের মালিকদের থেকে সরাসরি ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড নিয়েছিল। কিন্তু কাগজে কলমে সেটাকে দেখানো হয় স্পন্সরশিপ হিসেবে। এছাড়া গত বছর রিয়াদ মাহরেজের ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফিয়ের উৎস নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, ২০১৪ সালে এফএফপি এর নিয়ম ভেঙে প্রায় ১৮৮ মিলিয়ন ইউরো বেশি খরচ করেছিল বলেও নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং কমিটির প্রধান ইউভেস লেরেন্তে জার্মান পত্রিকা ডের স্পাইগেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বড় শাস্তিই পেতে হবে সিটিকে, ‘যা লেখা হয়েছে সেটা যদি তদন্তে সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে সেটা বড় বিপদ আনতে পারে সিটির জন্য। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকেও তাঁরা বাদ পড়তে পারে।’
তবে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্লাবের সম্মান নষ্ট করার জন্যই এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। এসব গোপন তথ্য হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যারা ছাপিয়েছে, তাদের ব্যাপারে কোন আলোচনাও করতে ইচ্ছুক নন তাঁরা।
২০১৪ সালে ৬০ মিলিয়ন ইউরো জালিয়াতির কারণে শাস্তি পেতে হয়েছিল সিটিকে। সেবার অন্য দল ২৫ জনের স্কোয়াড দিলেও সিটিকে ২১ জনের স্কোয়াড দিতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এবারও শাস্তি পেতে হয় কিনা সিটিকে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুদিন।