সৌরভের চোখে ফেভারিট পাকিস্তানও
পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে ফেভারিট মানছেন, এমন মানুষ হয়ত খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান শুধু কিছুদিন আগে বলেছিলেন, পাকিস্তান বিশ্বকাপে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ফেভারিট। এবার সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি বলছেন, পাকিস্তান এই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে, ফাইনাল জেতার সম্ভাবনাও আছে তাদের।
ইংল্যান্ডে আইসিসির টুর্নামেন্টে বরাবরই সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান। ২০০৯ সালে এখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতে তাঁরা। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও জয়ী হয় সরফরাজ আহমেদের দল। ইংল্যান্ডের মাটিতে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচে ৩০০ পেরিয়েছে পাকিস্তান, শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি তাঁরা।
ইংল্যান্ডের মাটিতে আইসিসি টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের রেকর্ডের কারণেই তাদের ফেভারিটের তালিকায় রাখছেন সৌরভ, ‘ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের রেকর্ডটা দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এখানেই জিতেছিল তাঁরা। ইংল্যান্ডে তাঁরা সবসময়ই ভালো খেলে। এখানে তাঁরা ইংল্যান্ডকে টেস্ট ম্যাচেও হারিয়েছিল অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের সুবাদে। এই বিশ্বকাপেও তাঁরা ভালো পারফর্ম করবে আগের টুর্নামেন্টগুলোর মতো। শেষ চারে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারতের সাথে তারাও সেমিতে উঠতে পারে।’
বিশ্বকাপে কখনোই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। গাঙ্গুলি অবশ্য বলছেন, ১৬ জুনের ম্যাচের আগে অতীতের রেকর্ডের কথা ভাবলে চলবে না, ‘আমি রেকর্ডে বিশ্বাস করি না। ম্যাচের দিন জিততে হলে আপনাকে ভালো খেলতে হবে। ভারত খুবই শক্তিশালী দল, তাদের হারানো কঠিন হবে। যে দলে কোহলি, রোহিত, ধাওয়ান আছে তাদের দুর্বল ভাবা বোকামি হবে।’
অন্যদের চেয়ে ভারত ও কোহলি একটু বেশিই চাপে থাকবে বিশ্বকাপে, মানছেন সৌরভ, ‘ভারত শুরু থেকেই চাপে থাকবে। চাপে থাকা অবশ্য একদিকে ভালো। আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না আয়ারল্যান্ড কিংবা নেপালের মতো হওয়ার, যেখানে কেউই আশা করবে না আপনি জিতবেন। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলরাই বেশি চাপে থাকে। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ায় কোহলি অন্য সবার চেয়ে চাপে থাকবে ব্যাটিংয়ের সময়। সে ভালো ব্যাটিং করলেই ভারতের কাজটা সহজ হয়ে যাবে।’
১৯৯২ বিশ্বকাপের ফরম্যাটে হবে এবারের টুর্নামেন্ট। বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য এমন ফরম্যাটই ভালো, বলছেন সৌরভ, ‘দশ দলের সবাই একে অন্যের সাথে খেলবে। এটা বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য ভালো। সবাই অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেরা চার দলই সেমিতে উঠবে।’