বুন্দেসলিগা জিতিয়ে শেষটা রাঙালেন রোবেন-রিবেরি
উৎসবের অপেক্ষায় ছিল আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা। আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। বায়ার্ন মিউনিখ ঘরের মাঠে বিরতি পর্যন্ত এগিয়ে থাকল এক গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে অবশ্য কিছুটা চাপেও পড়ে গেল। কিন্তু কিন্তু ডেভিড আলাবা আর রেনাটো সানচেজ দুই গোল দেওয়ার পর শিরোপাটা তখনই নিশ্চিত। ফ্রাঙ্ক রিবেরি আর আরিয়ান রোবেনের জন্যও মঞ্চ প্রস্তুত। দুইজনই নামলেন বদলি হয়ে, বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগা নিজেদের শেষ ম্যাচে দুইজনই করলেন গোল। সবমিলিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ে টানা ৭ বারের মতো বুন্দেসলিগা জিতল বায়ার্ন।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ড নিজেদের শেষ ম্যাচে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে হারালেও তাই আরও একবার বায়ার্নের শিরোপা উদযাপন ঠেকাতে পারেনি। মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ও শীর্ষে থেকেও আর লিগ জেতা হলো না ডর্টমুন্ডের।
ঘরের মাঠে কিংসলে কোমানের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। প্রথমার্ধে তাদের ব্যবধানটা আর বাড়েনি ফ্রাঙ্কফুর্ট গোলরক্ষক কেভিন ট্র্যাপের জন্য। অন্তত তিনবার নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। সেই সুযোগটা বিরতির পর কাজেও লাগিয়েছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট। বদলি স্ট্রাইকার সেবাস্তিয়ান হলার কর্নার থেকে গোল করলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অস্বস্তি ভর করেছিল। কিন্তু সেই গুমোট ভাবটা বেশিক্ষণ দীর্ঘ হতে দেননি ডেভিড আলাবা আর রেনাটো সানচেজ। ৫ মিনিটের ব্যবধানে দুইজন দুই গোল করে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেন তারা।
এরপর প্রথমে বদলি হয়ে নেমেছিলেন রিবেরি। এর কিছুক্ষণ পর রোবেন। গোল করার ক্ষেত্রেও সেই ধারাটা মেনে চললেন দুইজন। ঠিক যেন বায়ার্নে যোগ দেওয়ার মতো। ২০০৭ সালে এসেছিলেন রিবেরি, এর দুই বছর পর রোবেন।
৭২ মিনিটে রোবেনের করা গোলটি হলো তার মতোই। ডানদিক দিয়ে ঢুকে ডিবক্সের ভেতর আরও দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করে জার্সি খুলে ফেলেন রিবেরি। ফ্রেঞ্চম্যানের পেছন পেছন ছোটেন রোবেনও। কিছুক্ষণ পর তিনিও করেন গোল। ফারপোস্টে ছিলেন, ক্রস আসতেই বাম পায়ে ঢুকিয়ে দিয়েছেন সেটা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তখন এই দৃশ্যটুকুই দেখা ছিল সমর্থকদের। দুইজনের গোলের উদযাপনে তাই পুর্ণতা পেল তাদের শিরোপা উৎসবও।
রোবেন, রিবেরির সঙ্গে বিদায় নিচ্ছেন রাফিনহাও। তিনি বায়ার্নে এসেছিলেন ২০১১ সালে। এই তিনজনই বায়ার্নকে বিদায় বললেও ফুটবল ছাড়ছেন না। তাদের নতুন ঠিকানা অবশ্য জানা যায়নি এখনও। তবে সেটা জার্মানিতে যে হবে না সেটা প্রায় নিশ্চিত। রিবেরি তাই বায়ার্ন ছাড়ার সময় জিতলেন ৯ বুন্দেসলিগা, রোবেনের লিগ শিরোপা একটি কম। ২০১২-১৩ মৌসুমে দুইজন মিলে বায়ার্নের ট্রেবল জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান।
বিদায় বেলায় ম্যানুয়েল নয়্যারও শিরোপাটা ছেড়ে দিয়েছিলেন এই তিনজনের কাছেই। তিনজনই শেষে উঁচিয়ে ধরেছেন বায়ার্নের টানা সপ্তম শিরোপাটি।আগামী সপ্তাহে জার্মান কাপের ফাইনালে লাইপজিগের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। বায়ার্নের হয়ে তাই শিরোপা সংখ্যাটা আরও একবার বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে এই তিনজনেরই।