• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বদলে গেল আয়ারল্যান্ড, বিবর্ণ আফগানিস্তান

    ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে বদলে গেল আয়ারল্যান্ড, বিবর্ণ আফগানিস্তান    

    স্কোর

    আয়ারল্যান্ড ৪৮.৫ ওভারে ২১০ (স্টার্লিং ৭১, পোর্টারফিল্ড ৫৩, ও ব্রায়েন ৩২; আফতাব ৩/২৮। দৌলত ৩/৩৫ )

     আফগানিস্তান ৩৫.৪ ওভারে ১৩৫ (আফগান ২৯, নবী ২৭; আডাইর ৪/১৯, র‍্যাঙ্কিন ৩/৪০)

    ফলঃ আয়ারল্যান্ড ৭২ রানে জয়ী


    ত্রিদেশীয় সিরিজটা কেটেছিল ভুলে যাওয়ার মতোই ছিল, তিনটি ম্যাচের তিনটিতেই মেনে নিতে হয়েছে পরাজয়। সেভাবে লড়াইও করতে পারেনি। ভেন্যু বদলে ডাবলিন থেকে বেলফাস্ট হলো, প্রতিপক্ষ বদলে হলো আফগানিস্তান। আয়ারল্যান্ডও বদলে গেল, বেলফাস্টের প্রথম ওয়ানডেতে পেল ৭২ রানের জয়।

    উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড অবশ্য ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন, প্রথম ইনিংস শেষে তাঁর মনে হচ্ছিল রান কিছুটা কম হয়ে গেছে। সেটা হতেই পারে, আয়ারল্যান্ড যে মাত্র ২১০ রানে অলআউট হয়েছিল! একটু বিস্ময়েরই, তাতে আফগান স্পিন ত্রয়ীর চেয়ে পেসারদেরই অবদান বেশি। ২৪ রানের মধ্যে ম্যাকুলাম ও বালবির্নিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দৌলত জাদরানই। এরপরেই বাংলাদেশের বিপক্ষে আলো ছড়ানো পল স্টার্লিং ও পোর্টারফিল্ড জুটি বাঁধেন আবারও। তৃতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেন ৯৯ রান, আয়ারল্যান্ড এগিয়ে যআচ্ছিল বড় কিছুর দিকেই। পোর্টারফিল্ডকে ৫৩ রানে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন রশীদ খান। এক ওভার পর স্টার্লিং গুলবদিন নাইবের বলে ফিরে গেছেন ৯৪ বলে ৭১ রান করে। উইলসন ১০ রানে রান আউট হয়ে যান, ১৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।

    কেভিন ও ব্রায়েন ও জর্জ ডকরেল অবশ্য এরপর হাল ধরেন। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৩৭ রান। ৩২ রানে ও ব্রায়েনকে ফেরান আফতাব, এরপরেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে আইরিশরা। শেষ ১৮ রানে ৫ উইকেট হারায়, যার মধ্যে দুইটি নিয়েছেন আফতাব। জাদরান ও আফতাব দুজনেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট, স্পিনারদের মধ্যে শুধু রশীদই নিয়েছেন দুইটি।

     

     

    সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খেতে থাকে আফগানিস্তান। স্কোরকার্ডে ৭ রান ওঠার পর নেই মোহাম্মদ শাহজাদ, করেছেন ১৪ বলে ২। দলের ১৯ রানে নেই রহমত শাহ, ২২ রানে নেই হজরতউল্লাহ জাজাই। ৪০ বলে ১৪ রান করে ফিরেছেন জাজাই, প্রথম ১০ ওভারে আফগানরা তুলেছে মাত্র ২১ রান। খোলসে ঢুকে যাওয়া কাল হয়েছে তাদের, এরপর ফিরে গেছেন হাশমতউল্লাহ শহিদিও। মোহাম্মদ নবী একটু পালটা আক্রমণের চেষ্টা করেছিলেন, তবে ২৫ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। নাইব আর রশীদরা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি কেউই, ১৪ ওভারের বেশি বাকি থাকতেই অলআউট হয়েছে  ১৩৫ রানে। ৪ উইকেট নিয়ে মার্ক আডাইরই ছিলেন মূল ঘাতক। র‍্যাঙ্কিন নিয়েছেন তিনটি উইকেট, মারটাগ দুইটি। কোনো উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে চাপটা ধরে রেখেছেন ম্যাকব্রাইন।