• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    আশা জাগিয়েও পারল না স্কটল্যান্ড

    আশা জাগিয়েও পারল না স্কটল্যান্ড    

    স্কোর

    শ্রীলংকা ৫০ ওভারে ৩২২/৮ ( করুনারত্নে ৭৭, ফার্নান্দো ৭৪, মেন্ডিস ৬৬; হুইল ৩/৪৯, শরিফ ২/৭৬)

    স্কটল্যান্ড ৩৩.২ ওভারে ১৯৯ ( মানসে ৬১, ক্রস ৫৫, কোয়েটজার ৩৪; প্রদীপ ৪/৩৪, লাকমল ২/৫৫)

    শ্রীলংকা বৃষ্টি আইনে ৩৪ রানে জয়ী

    ৫০ ওভারে ৩২৩ রানের লক্ষ্যটা হয়ত একটু বেশিই ছিল স্কটল্যান্ডের জন্য। ২৭ ওভারে ১৩২ রান তুললেও জয় পাওয়ার জন্য স্কটল্যান্ডের ম্যাথু ক্রস ও জর্জ মানসেকে করতে হতো দারুণ কিছুই। তবে বৃষ্টি আইনে যখন পরের সাত ওভারে স্কটল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ালো ১০৩ রান, জয়ের স্বপ্নটা তখন একটু হলেও দেখা শুরু করেছিল স্কটিশরা। ঝড়ো গতিতে রান তুললেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য নুয়ান প্রদীপের বোলিংয়ের কাছে হার মারল তাঁরা। এডিনবার্গের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৩৫ রানে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল লংকানরা। এই জয়ে আট ওয়ানডে পর জয়ের মুখ দেখল তাঁরা। 

    লংকানদের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ডের ওপেনিং জুটি শুরুটা খারাপ করেনি। কাইল কোয়েটজার ও ক্রস ১০ ওভারের মাঝে তোলেন ৫১ রান। এরপর সাত বলের ব্যবধানে কোয়েটজার ও ক্যালাম ম্যাকলিওডের উইকেট হারিয়ে চাপে পরে স্কটিশরা। ক্রেইগ ওয়ালাসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

    চতুর্থ উইকেটে ক্রস-মানসে জুটি দলের হাল ধরেন। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটি। ২৭ ওভারের খেলা শেষ হওয়ার পর নামে বৃষ্টি। তখন স্কটল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৩২। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৃষ্টি শেষে আবার শুরু হয় খেলা, স্কটল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ২৩৪।

    সাত ওভারে দরকার ১০৩ রান। থিসারা পেরেরার ২৮ তম ওভারে মানসে নিলেন ১৯ রান, নড়েচড়ে বসলেন স্কটল্যান্ড ডাগআউটের সবাই। পরের ওভারে সুরাঙ্গা লাকমল ফেরালেন ৫৫ রান করা ক্রসকে। এরপর মানসেকে আর সঙ্গ দিতে পারলেন না কেউই। ছয় চার ও তিন ছয়ে ৪২ বলে ৬১ রান করে একাই লড়ে গেলেন তিনি। ৩২ তম ওভারে যখন প্রদীপের বলে বোল্ড হলেন মানসে, ততক্ষণ ম্যাচ হেরে গেছে স্কটল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১৯৯ রানে অলআউট হয় তারা।

     

     

    ম্যাচের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল শ্রীলংকা। আভিস্কা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নের ওপেনিং জুটিতে আসে ১২৩ রান। ফার্নান্দো ফিরেছেন ৭৪ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন করুনারত্নে। ফার্নান্দোর মতো সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি করুনারত্নেরও, ৭৭ রান করে করে ব্র্যাডলি হুইলের বলে আউট হয়েছেন তিনি। এরপর মেন্ডিসের ৬৬ ও লাহিরু থিরিমানের ৪৪ রানের সুবাদে ৩০০ পেরোয় শ্রীলংকা।