আটালান্টার সঙ্গী হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ইন্টার
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগে আটালান্টা
চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য লড়াইটা ছিল মূলত চার দলের মাঝে। ইন্টার মিলান, আটালান্টা, এসি মিলান ও রোমা; সবার লক্ষ্যই ছিল শীর্ষ চারের শেষ দুই জায়গাটা দখলের। সিরি আর রোমাঞ্চকর শেষ দিনে সেই লক্ষ্যে সফল হলো ইন্টার ও আটালান্টাই। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত সাসুউলোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলবে আটালান্টা। অন্যদিকে এম্পোলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষ চারে থাকা নিশ্চিত করেছে ইন্টার। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতেও আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হচ্ছে না এসি মিলান ও রোমার।
নিজেদের ম্যাচে জিতলেই শীর্ষ চার নিশ্চিত হতো আটালান্টার। তবে এসপিএএলের বিপক্ষে ২৩ মিনিটের মাঝেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল এসি মিলান। অন্যদিকে ডোমেনিকো বেরার্দির গোলে ১৯ মিনিটেই সাসুউলোর কাছে পিছিয়ে পড়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশাটা ফিকে হয়ে গিয়েছিল আটালান্টার। ঘুরে দাঁড়াতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি তাদের। ৩৫ মিনিটে দুভান জাপাতার গোলে ম্যাচে ফেরে তাঁরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড নেয় আটালান্টা, ৫৩ মিনিতে আলেহান্দ্রো গোমেজের গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। ৬৫ মিনিটে যখন মারিও পাসালিকের হেড জালে জড়ায় ,চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার উল্লাসটা শুরু করে দিয়েছে আটালান্টার সবাই। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তাঁরা। ইন্টারের সাথে সমান ৬৯ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় স্থানে আছে তাঁরা। এসপিএএলের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়েও ইউরোপা লিগেই খেলতে হবে এসি মিলানকে, ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তাঁরা আছে পঞ্চম স্থানে।
শীর্ষ চারে আটালান্টার সঙ্গী হয়েছে ইন্টার। ঘরের মাঠে প্রথমার্ধ পর্যন্ত তাদের আটকে রেখেছিল অবনমনের সাথে লড়তে থাকা এম্পোলি। ৫১ মিনিটে ইন্টারকে লিড এনে দেন কেইতা দিয়াও। ৭৬ মিনিটে অবশ্য ইন্টারকে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল এম্পোলির হামিদ ট্রাওরের গোল। ৮১ মিনিটে গোল করে ইন্টারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিয়ে যান রাদযা নেইনগোলান। চতুর্থ স্থানে থেকেই চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত করল ইন্টার।
শেষ ম্যাচে হতাশা নিয়ে বিদায় বললেন ডি রসি
রোমার হয়ে খেলতে নেমেছিলেন নিজের শেষ ম্যাচ। ড্যানিয়েল ডি রসির লক্ষ্য ছিল দলকে চ্যাম্পিয়নস লিগে পৌঁছে দেওয়া। পারমার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা হচ্ছে না তাদের। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকেই লিগ শেষ করল তাঁরা।
নিজের শেষ ম্যাচে হারলেন আলেগ্রি
জুভেন্টাসকে এই মৌসুম শেষেই বিদায় বলছেন মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। ক্লাবের হয়ে শেষটা অবশ্য হার দিয়েই হলো তাঁর। সাম্পদোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে জুভেন্টাস।
অল্পের জন্য রক্ষা জেনোয়ার
ইন্টারের সাথে ড্র করে অবনমন প্রায় বাঁচিয়েই ফেলেছিল এম্পোলি। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে হারতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে ফিওরেন্টিনার সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে জেনোয়া। ৩৮ ম্যাচ শেষে জেনোয়া, এম্পোলি দুই দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় ৩৮। তবে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে অবনমনের হাত থেকে বেঁচে গেছে জেনোয়া।