• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ইংল্যান্ডের এমন পিচ আগে কখনোই দেখেননি হাফিজ

    ইংল্যান্ডের এমন পিচ আগে কখনোই দেখেননি হাফিজ    

    পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চার ম্যাচেই ইংল্যান্ড পার করেছিল ৩০০ রান। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা সেটা করেছেন তিনবার। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের চিত্রটা ছিল এমনই। দুই দলের এত রান ওঠায় অবাক ছিলেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজও। বিশ্বকাপ শুরুর আগে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমকে হাফিজ বলছেন, আগে কখনোই এরকম পিচ দেখেননি তিনি।

    সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ রানের জন্য জয় পায়নি পাকিস্তান। পরের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩০০ রানের বেশি টার্গেট দিলেও সেটা টপকে যায় এউইন মরগানের দল। সিরিজের শেষ ম্যাচেও ইংল্যান্ড তোলে ৩৫১ রান, পাকিস্তান করতে পেরেছে ২৯৭।

    হাফিজ বলছেন, ইংল্যান্ডের এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচ তিনি আগে কখনোই দেখেননি, ‘শেষ যে সিরিজটা খেললাম ইংল্যান্ডের সাথে, সেই সিরিজের মতো পিচ আগে কখনোই দেখিনি। এমন পিচের সাথে মানিয়ে নেওয়া বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। এখন তো মনে হচ্ছে সব পিচই এমন ব্যাটিং সহায়ক হবে। ব্যাটসম্যানরাই সব সুবিধা পাবে, বেশিরভাগ ম্যাচেই অনেক রান উঠবে। তবে টুর্নামেন্ট যত সামনের দিকে গড়াবে, আশা করি কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে পিচের।’

     

     

    পিচ ব্যাটিং সহায়ক হলেও বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই বিশ্বাস হাফিজের, ‘ক্রিকেট এখন ব্যাটসম্যানদের খেলা। তাও আপনার দলে ভালো বোলার থাকতে হবে এটা না থাকলে প্রতিপক্ষকে কিছুতেই আটকানো যাবে না। বিশেষ করে স্পিনাররা বড় ভূমিকা পালন করবে। তাঁরা প্রতিপক্ষকে একটু হলেও ধাঁধার মাঝে ফেলতে পারবে।’

    ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। দুই বছর আগে এখানেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল তাঁরা। প্রতিবার ইংল্যান্ডে এলেই দর্শকের বড় একটা অংশ তাদের সমর্থনে থাকে। এবারও সেটার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা হাফিজের, ‘প্রতিবারই এখানে আমরা অনেক বেশি সমর্থন পাই। মনে হয় যেন ঘরের মাঠেই খেলছি। দর্শকের এমন সমর্থন বাড়তি প্রেরণা দেয় দলকে। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো ক্রিকেটারই ভালো খেলতে চাইবে।’