চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাইজ মানি: কার ঝুলিতে কত?
অপেক্ষাটা পাকা এক দশকের। সেই ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর এবারই প্রথম ‘অল ইংলিশ’ ফাইনাল দেখবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। লিভারপুল এবং টটেনহাম হটস্পারের লড়াই দিয়ে ইতি টানবে ২০১৮-১৯ পর্দা নামবে চ্যাম্পিয়নস লিগের। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কে পড়বে তা জানা না থাকলেও ‘প্রাইজ মানি’র পরিমাণ জানা গেছে আগেই। চলুন দেখে আসি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে কে কত ইউরো পকেটে পুরবে।
প্রথমত, ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে শুধুমাত্র আজকের ফাইনাল জেতার দল পাবে ১৯ মিলিয়ন ইউরো। রানার্স আপদের প্রাইজ মানিও কম নয়, বিজিত দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যোগ হবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো। অর্থের হিসেব শেষ নয় এখানেই। গ্রুপপর্বে কোয়ালিফাই করা সব দল পেয়েছে ১৫.২৫ মিলিয়ন ইউরো করে। আর প্রত্যেক নকআউট রাউন্ড সফলভাবে পার করা দলগুলো পেয়েছে ৯.৫ থেকে ১৫ মিলিয়ন ইউরো করে। বলা বাহুল্য, শেষ ষোল থেকে বিদায় নেওয়া অ্যাটলেটিকোর চেয়ে সেমিতে খেলা আয়াক্সের অ্যাকাউন্ট হয়েছে সমৃদ্ধ।
গ্রুপপর্বে পাওয়া প্রত্যেক পয়েন্টের জন্য সব দল জিতেছে ৯ লাখ ইউরো করে। অর্থাৎ, গ্রুপপর্বে পাওয়া ৯ পয়েন্টের জন্য লিভারপুল পেয়েছে ৮.১ মিলিয়ন ইউরো। আর ৮ পয়েন্টের জন্য স্পার্স পেয়েছে ৭.২ মিলিয়ন ইউরো। সেক্ষেত্রে ফাইনাল জিতলে লিভারপুল চ্যাম্পিয়নস লিগে পুরো মৌসুমের জন্য পাবে ৭৪.৩৫ মিলিয়ন ইউরো। স্পার্স ফাইনাল জিতলে পাবে সর্বমোট ৭৩.৪৫ মিলিয়ন ইউরো। ঐ ১ পয়েন্টের জন্যই আজ ফাইনাল জিতলে স্পার্সের চেয়ে ৯ লাখ ইউরো বেশি পাবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
অর্থের ঝনঝনানি শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগেই শেষ নয়। মৌসুমের শুরুতে ইউয়েফা সুপারকাপে কোয়ালিফাই করার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ (চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী) এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (ইউরোপা লিগ জয়ী) পেয়েছিল ৩.৫ মিলিয়ন ইউরো করে। আর ফাইনাল জেতায় ডিয়েগো সিমিওনের দল পেয়েছিল আরও ১ মিলিয়ন ইউরো। এসব দিকে সব ক্লাবই সমান থাকলেও টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অন্যান্য লিগের চেয়ে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর পকেট ভারী হবে কিছুটা বেশি। ইউয়েফার ‘মার্কেট পুল’ তথা টেলিভিশন সম্প্রচারে আয়কৃত অর্থের দিক দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে ইংলিশ ক্লাবগুলো।
ইউয়েফার নিয়মানুযায়ী, যে দেশের ক্লাবগুলোর খেলা সম্প্রচার করতে টেলিভিশন চ্যানেলগুল অধিক আগ্রহী হবে; তাদের জন্য ‘মার্কেট পুল’ থেকে আয় হিসেবে অর্থ বরাদ্দ থাকবে বেশি। এবারের হিসেব অনুযায়ী, ‘মার্কেট পুল’ থেকে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো পাবে ৩৫.৩ মিলিয়ন ইউরো করে। আগের প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ইউরোর সাথে আজকের ফাইনাল জিতলে সব মিলিয়ে এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে লিভারপুলের আয় দাঁড়াচ্ছে ১১০ মিলিয়ন ইউরো। আর শেষ হাসি হাসলে মরিসিও পচেত্তিনোর দলের আয় দাঁড়াবে ১০৯ মিলিয়ন ইউরো। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা রিয়ালের আয় ছিল ১০১ মিলিয়ন ইউরো। টেলিভিশন সম্প্রচার বা ‘মার্কেট পুল’-ই এই দুই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা দলের মাঝের ৮-৯ মিলিয়ন ইউরো আয় ব্যবধানের মূল কারণ।