চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত: ক্লপ
কোচিং ক্যারিয়ারে আরও দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। দুইবারই পরাজিত দলে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ইউর্গেন ক্লপকে। ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখ ও গতবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ক্লপের। এবার টটেনহামের বিপক্ষে ভাগ্যদেবী মুখ ফিরে তাকালেন তাঁর দিকে। মাদ্রিদের ফাইনালে টটেনহামকে ২-০ গোলে হারিয়ে ১৪ বছর পর লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা এনে দিলেন ক্লপ, জিতলেন ক্লাবের হয়ে নিজের প্রথম কোন ট্রফি। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ক্লপ বলছেন, এটিই তার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা রাত।
ম্যাচের ২৯ সেকেন্ডেই পেনাল্টি পায় লিভারপুল। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দেন মোহামেদ সালাহ। ৮৭ মিনিটে ডিভোক অরিগির গোলেই ২০০৫ সালের পর আবার ইউরোপসেরার মুকুট মাথায় দেয় লিভারপুল।
এই মৌসুমে লিগে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য লিগ শিরোপা জিততে পারেননি ক্লপ। সেই আক্ষেপটা ঘুচল চ্যাম্পিয়নস লিগে। ক্লপ বলছেন, মৌসুমের এর চেয়ে ভালো সমাপ্তি আর চাইতে পারতেন না তিনি, ‘এরকম দল কি আগে কেউ দেখেছে? দেহের সব শক্তি শেষ হয়ে গেলেও তাঁরা লড়াই থামায় না। তাদের জন্য আমি খুব বেশি আনন্দিত। এরা সবাই আমার পরিবার। তাঁরা আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে, তাই তাদের এটা প্রাপ্য। পুর মৌসুমটাই অনেক উত্তেজনায় ভরপুর ছিল। এর চেয়ে ভালো সমাপ্তি আমি কখনোই ভাবতে পারিনি।’
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে জিততে পারেননি, গতবার লিভারপুলের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকেও ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারেননি। এবার তাই শিরোপা জেতায় ক্লপের ছিল বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। ক্লপ জানালেন, এটাই তার কোচিং ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত, ‘আমি ভেবেছিলাম আরও বেশি উল্লাস করবো! তবে নিজেকে অনেক শান্ত রাখতে পেরেছি, আসলে আবেগটা একটু বেশিই ছিল। কোচ হিসেবে এই শিরোপা ছোঁয়াটা আমার জন্য বড় কিছু ছিল না। কিন্তু খেলোয়াড় ও দর্শকের মাঝে যে আনন্দটা দেখেছি, সেটা অতুলনীয়। কোচ হিসেবে নিঃসন্দেহে এটাই আমার সেরা মুহূর্ত। লিভারপুলে গিয়ে সমর্থকদের সাথে আনন্দটা ভাগাভাগি করার অপেক্ষায় আছি।’