নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ব্রাজিল জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন তিনি। কোপা আমেরিকা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন নেইমার। ব্রাজিল পুলিশের এক তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ উঠছে, প্যারিসে এক ব্রাজিলিয়ান নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিলেন নেইমার।
ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করা এক নারী নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে প্যারিসের হোটেল সোফিটেল প্যারিসে, ১৫ মে স্থানীয় সময় রাত ৮.২০ মিনিটে। সেই নারী জানান, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নেইমারের সাথে তার পরিচয়। কথাবার্তার এক পর্যায়ে নেইমার তাকে প্যারিসে আসার প্রস্তাব দেন। নেইমার তাঁকে বিমানের টিকেট কেটে দেন, প্যারিসের ওই হোটেলের রুমও বুকিং দিয়ে রাখেন।
১৫ মে রাতে মদ্যপ অবস্থায় হোটেলে ওই নারীর সাথে দেখা করতে আসেন নেইমার। ওই নারীর ভাষ্যমতে, এক পর্যায়ে নেইমার আক্রমণাত্মক হয়ে যান ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ওই ঘটনায় হতবাক হয়ে তিনি দুইদিন পর প্যারিস ছেড়ে ব্রাজিলে চলে যান। এর কয়েকদিন পরই সাও পাওলো পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই নারী। পুলিশের রিপোর্ট বলছে, তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে প্যারিস পুলিশ বলছে, এই ঘটনার ব্যাপারে তাঁরা কিছুই জানেন না।
এদিকে এই অভিযোগের পর নেইমার ওই নারীর সাথে ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে নিজের কথাবার্তার ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে দেখা যায়, ১১ মার্চ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত তাদের কথাবার্তা হয়েছে। নেইমার বলছেন, তিনি কখনোই ওই নারীর সাথে জোরাজুরি করেননি, ‘আমাদের দুইজনের মাঝে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সে যা বলেছে ওরকম কিছুই হয়নি। আশা করি পুলিশ আমাদের কথাবার্তাগুলো পড়ে দেখবেন, এরপর দেখা যাক কী হয়।’
এদিকে নেইমারের বাবা বলছেন, ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নেইমারের। দুইজনের ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারণেই নেইমারকে ফাঁসানো হচ্ছে, ‘এটা নেইমারের জন্য কঠিন একটা সময়। আমরা যদি দ্রুততম সময়ের মাঝে সত্যিটা প্রকাশ করতে না পারি, তাহলে বিপদ হবে। তাঁকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য যত কথোপকথন দেখাতে হয় সবই সে দেখাবে।’