ফাইনালে খেলার আশা ছাড়ছেন না ডু প্লেসি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বলেছিলেন, প্ল্যান ‘এ’ কাজ না করলে প্ল্যান ‘বি’ ও ‘সি’ নিয়ে ভাববেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে কাজ করল না দক্ষিণ আফ্রিকার কোন পরিকল্পনাই। প্রথম ম্যাচের মতো তাই দ্বিতীয় ম্যাচেও একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেও অবশ্য আশা ছাড়ছেন না ডু প্লেসি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মলেনে তিনি বলেছেন, এখনো এই টুর্নামেন্ট জেতার সম্ভাবনা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
একে তো স্টেইন-আমলা নেই, তার ওপর লুঙ্গি এনগিদির ইনজুরি; ডু প্লেসির চিন্তার কোন শেষ ছিল না। মাত্র চার ওভার বল করে মাঠ ছেড়েছেন এনগিদি, খেলতে পারবেন না ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও। তাঁর ইনজুরিটা ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলেছে বলেই বিশ্বাস ডু প্লেসির, ‘কোন পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। ম্যাচের আগে আমরা বলেছিলাম আক্রমণাত্মক মুডে থাকব সবাই। কিন্তু এনগিদি যখন ইনজুরিতে পড়ল, তখন থেকেই সব বদলে গেছে। হুট করেই আমাকে ১৫-২০ ওভার মিডিয়াম পেসার ও স্পিনারদের দিয়ে করাতে হয়েছে, প্রতিপক্ষ তাই বেশি রান করেছে। উপমহাদেশের দলগুলো যখন এরকম পরিস্থিতিতে বড় স্কোর করে, তখন তাদের হারানো কঠিন হয়ে যায়। এই ম্যাচেও সেটা হয়েছে।’
টানা দুই ম্যাচে হারের পর দলের সদস্যদের সাথে কিছুটা শক্ত ভাষাতেই কথা বলেছেন ডু প্লেসি, ‘যদি আপনি একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে ভালো না খেলেন, তাহলে আমার মুখ থেকে শক্ত কথাই শুনতে হবে। আমি খুব ‘ভালো মানুষ’ না এই ব্যাপারে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের কোন অজুহাতই দাঁড় করাতে পারবে না কেউ। অজুহাত আপনি দাঁড় করাতেই পারেন, সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ড্রেসিংরুমের সব ক্রিকেটার নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারছে না, এজন্য ফলাফলটা আসছে না। আয়নার দিকে তাকিয়ে সবাইকে এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে।’
ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের কাছে হারের পরেও ডু প্লেসির বিশ্বাস, বাকি সাত ম্যাচে ভালো করে ফাইনালে যেতে পারবে তাঁর দল, ‘এখনো আমি বিশ্বাস করি যে আমরা শিরোপা জিতবো। একজন দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে এটা আমি বলবোই। কীভাবে দলের মনোবল চাঙ্গা করা যায় সেটাই ভাবছি। এই মুহূর্তে আমরা ভালো খেলছি না। পরের ম্যাচটা ভারতের সাথে। তাঁরা শক্তিশালী দল, বিশ্বকাপে সবাই শক্তিশালী। আমাদের তাদের সাথে লড়াই করেই জিততে হবে। এছাড়া আর কোন উপায় তো নেই। আমরা যে লড়াইটা চালিয়ে যাব, সেটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি।’