'বিশ্বকাপে এরকম চ্যালেঞ্জ আসবে জেনেই আমরা নিজেদের প্রস্তুত করেছি'
২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো সেই বাংলাদেশ দলটাকে ছিলেন তিনিও। ১২ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন সাকিব আল হাসানরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১ রানে হারিয়ে স্বপ্নের সূচনা পেয়েছে মাশরাফির দল। ২০০৭ সালের সেই ম্যাচে বেশিকিছু করতে না পারলেও বাংলাদেশের এবারের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবেরই, ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তিনিই ম্যাচের সেরা। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার পর সাকিব বলছেন, বিশ্বকাপের চ্যালেঞ্জের কথা ভেবে বাংলাদেশ দল প্রস্তুতি নিয়েছে বলেই প্রথম ম্যাচে এমন সাফল্য এসেছে।
১২ বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ উঠেছিল সুপার এইটে, সেখানেই প্রোটিয়াদের হারিয়েছিল তাঁরা। ২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে তেমন কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে আসে সেরা সাফল্য, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল মাশরাফিরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। ২০০৭ থেকে ২০১৯, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জয়ের চক্রটা পূর্ণ করার পর সাকিব বলছেন, গত ১২ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে দেশের ক্রিকেট, ‘দুই জয়ের মাঝে ১২ বছর কেটে গেছে, এর মাঝে আমাদের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে। ওই সময়ে ভালো খেলতে পারলেই সেটা দর্শক ও সবার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন আমরা আর হারতে চাই না। ১২ বছরে প্রত্যাশার মাত্রাটা অনেক অপরে উঠে গেছে। বিশ্বকাপের এমন শুরুতে দারুণ খুশি, তবে এটা সবে শুরু।’
বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে কেমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন তাঁরা, সেটার প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন সাকিব, ‘আমরা জানতাম কী কী পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। সেটার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আয়ারল্যান্ডের সেই সিরিজটা খুব কাজে দিয়েছে। দলের মাঝে আত্মবিশ্বাসটা জেগেছে। আমরা চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত, একই সাথে নির্ভারও আছি। যেকোনো বড় দলকে হারানো সামর্থ্যই আমাদের আছে, সেটা দলের সবাই জানে।’
আট চার ও এক ছয়ে ব্যাট হাতে সাকিব করেছেন ৮৪ বলে ৭৫ রান। ইমরান তাহিরকে সুইপ করতে না গেলে হয়ত সেঞ্চুরিটাও ছুঁতে পারতেন। বল হাতে ১০ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান, নিয়েছেন এইডেন মার্করামের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, এতেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে পূর্ণ করেছেন ২৫০ উইকেট। মুশফিকুর রহিমের সাথে গড়েছেন ১৪২ রানের জুটি, যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সাকিব বলছেন, মুশফিকের সাথে দারুণ বোঝাপড়ার কারণেই এমনটা হয়েছে, ‘আমাদের অনেক ভালো পার্টনারশিপ আছে। টেস্টেও আমাদের জুটি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ। ১০-১২ বছর ধরে এটা চলে আসছে। আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ থেকেই একসাথে খেলছি, দুইজন একে অন্যের খেলাটা জানি, বুঝি। আমরা একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করি। এটাই আমাদের জুটির সাফল্যের চাবিকাঠি।’