কেন মহাগুরুত্বপূর্ণ লাওসের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ?
কবে, কখন
মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭টা
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে
প্রথম লেগের ফল
ভিয়েনতিয়েনে রবিউল হাসানের একমাত্র গোলে লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগের ম্যাচে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ
লাওসের বিপক্ষে ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এএফসি কাপের প্রাক বাছাইপর্ব। এশিয়ার র্যাংকিংয়ে ৩৪ এর পরে থাকা দলগুলোকে খেলতে হচ্ছে এই পর্ব। এখান থেকে উতরে গেলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে মোট ৪০ দেশকে ৮ গ্রুপে ভাগ করা হবে লটারির মাধ্যমে। তাতে বড় এক বাঁচা বেঁচে যাবে বাংলাদেশ। অন্তত আগামী দুই বছর ফুটবলের অভাবে ভুগতে হবে না। হোম আর অ্যাওয়ে লেগের ভিত্তিতে ৮ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে বাংলাদেশের। আর হেরে গেলে আরও একবার একরকম নির্বাসনে যেতে হবে দেশের ফুটবলকে। আগামী দুই বছরের ফিক্সচারে এখনও রাখা হয়নি কোনো ম্যাচ।
শুধু ম্যাচের কথাই ভাবছে বাংলাদেশ
ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার কাছে প্রশ্ন ছিল এসব নিয়েই। লাওসের বিপক্ষে হেরে গেলে আন্তজার্তিক ফুটবলকে আপাতত বিদায় বলতে হবে তাদের। কী হবে, কী হবে না- সেটা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন জামাল, “ভবিষ্যতে কী হবে কী হবে না সেটা নিয়ে ভাবতে চাই না। কালকের ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। দলে অনুপ্রেরণারও কমতি নেই। আমাকে আলাদা করে অনুপ্রেরণা যোগাতে হচ্ছে না। তারা সবাই জাতীয় দলের ফুটবলার, এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কী হতে পারে?”
লাওসের বিপক্ষে প্রথম লেগে বাংলাদেশ একরকম কোনঠাসাই ছিল। বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে তাই চাপে থাকার পরও জয়ের জন্য দলের কৃতিত্বটাই দিচ্ছেন, দ্বিতীয় লেগের আগেও তাই দলের ওপরই ভরসা রাখতে চান তিনি। হার এড়াতে পারলেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত জেনেও জয়ের জন্যই খেলবেন বলে জানিয়েছেন ডে, “ড্রয়ের জন্য খেলব না। জিততে চাই। শুরুর দিকে একটা গোল পেয়ে গেলে অবশ্যই ভালো হয়।”
ভিয়েনতিয়েনে লাওসের আক্রমণের প্রধান উৎস ছিল সেট পিস। লাওস অধিনায়ক আফোনে ভংশিয়েনখামই দলের সেট পিস গুলো নেন। জেমি ডে তাই দলকে সতর্ক করে দিচ্ছেন আগে থেকেই।
“লাওস সেট পিসে খুবই ভালো। ওদের আফোনে ভংশিয়েনখাম দুর্দান্ত খেলেছে প্রথমার্ধে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, খুব বেশি ফ্রি কিক বা কর্নার দেওয়া যাবে না। ভালো মার্কিং করতে হবে। ওরা কথায় ভালো সেটা আমরা জানি। কিন্তু এসব নিয়ে না ভেবে আমরা কোথায় ভালো সেটাই নিয়েই ভাবা উচিত।”
“আমরা আমাদের নিয়েই ভাবছি। যদি নিজেদের খেলাটা খেলতে পারি, এরপর যদি হেরেও যাই, তাতে আফসোস নেই।”
দ্বিতীয় লেগে পুরোশক্তির দল পাচ্ছে লাওস
লাওসের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় খেলেন থাইল্যান্ডের লিগে। প্রথম লেগের আগে স্কোয়াডে ডাকা হলেও সেসব খেলোয়াড়দের দলে পাননি লাওস কোচ সুন্দ্রাম মোর্থি। প্রথম লেগের হারটা মেনে নিয়েছেন তিনি, “ফুটবলে এমনই হয়। আপনার হয়ত পাওয়ার কথা ছিল অনেক কিছু, কিন্তু সেটা পাওয়া হবে না।”
বাংলাদেশে অবশ্য পুরো শক্তির স্কোয়াড নিয়ে এসেছেন তিনি। আর অ্যাওয়ে ম্যাচ বলে দলের ওপর আলাদা কোনো প্রত্যাশার চাপ থাকবে না বলে আশাবাদী লাওস কোচ, “অনেক দর্শকের সামনে খেললে দেখিয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করে খেলোয়াড়দের মধ্যে। ঘরের মাঠের মতো প্রত্যাশার চাপ নেই এখানে। আশা করছি ভালোই করবে আমার দল।”