বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা?
প্রথম রাউন্ড থেকে উতরে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার র্যাংকিং এ ৩৫-৪৬ পর্যন্ত থাকা দেশগুলোকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম পর্ব। এই ছয় ম্যাচের জয়ী দলগুলো প্রথম ৩৪ দলের সঙ্গে মিলে আট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবে দ্বিতীয় পর্বের বাছাইয়ে। প্রথম থেকে দ্বিতীয় পর্বের উত্তোরণে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, গুয়াম ও মালয়েশিয়া। ফিফার র্যাংকিংয়ে এই ছয় দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে আছে কেবল গুয়াম। ভূটানকে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে জায়গা পেয়েছে তারা।
প্রথম লেগে জিতেও নিরাপত্তার কারণে শ্রীলঙ্কায় খেলতে না যাওয়া ম্যাকাওয়ের ভাগ্য আছে ঝুলে। তবে ইতিহাস বলছে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় শ্রীলঙ্কারই উঠে যাওয়ার কথা দ্বিতীয় পর্বে। তবে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
আরও পড়ুনঃ যেভাবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় রাউন্ডে কারা?
এশিয়া থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা ইরান, সৌদি আরব, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া- সবাই আছে এখানে। ৪০ দেশের এই ড্র অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ের ১৭ তারিখ, কাতারে। প্রতিটি গ্রুপের দলগুলো একে অন্যের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে লেগের ভিত্তিতে খেলবে।
তবে তারাও অংশ নিচ্ছে বাছাইপর্বে। বর্তমান র্যাংকিং অনুযায়ী ইরান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও চীন- এই আট দেশের যে কোনো একটি নিশ্চিতভাবে থাকবে বাংলাদেশের গ্রুপে। বাকি চারটি দেশের নাম জানা যাবে ড্রয়ের পর।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে কাতারের এবার বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত। এশিয়া থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশ নেবে আরও চার দেশ। দ্বিতীয় রাউন্ডের আট গ্রুপের শীর্ষ আট দল ও শীর্ষ চার রানার আপকে নিয়ে হবে বিশ্বকাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইপর্ব। এই বারো দলই সরাসরি জায়গা করে নেবে পরের এশিয়া কাপে। বাস্তবতা বলছে এখানে বাংলাদেশের থাকার সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। তবে একেবারে খালি হাতেও ফিরতে হবে না বাংলাদেশকে।
সব হারালেও থামবে না যাত্রা
লাওসের বিপক্ষে জয়ের মাহাত্ম্যটা এখানেই। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সঙ্গে এটা ২০২৩ চীন এশিয়া কাপেরও বাছাইপর্ব। দ্বিতীয় রাউন্ডের বাছাইপর্বে অন্তত আগামী দেড় বছরে আটটি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে বাংলাদেশের। গ্রুপের একেবারে তলানীতে শেষ করলেও এশিয়া কাপে বাছাই করার সুযোগ তখনও থাকবে বাংলাদেশের সামনে। আট গ্রুপের চতুর্থ হওয়া সেরা চার দল অংশ নেবে তৃতীয় রাউন্ডের এশিয়া কাপ বাছাই পর্বে। আর বাকি চার চতুর্থ হওয়া দল ও পঞ্চম হওয়া দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে খেলবে এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের প্লে-অফে।
তাই আর যাই হোক, বাংলাদেশকে আপাতত আগামী বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবলের অভাবে ভুগতে হচ্ছে না।