• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    দলের উন্নতিটাই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ কোচ

    দলের উন্নতিটাই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ কোচ    

    লাওসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে জেতা হয়নি বাংলাদেশের। অ্যাওয়ে লেগের ১-০ গোলে জয়টাই যথেষ্ট হয়েছে, বাংলাদেশও চলে গিয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গোলশূন্য ড্র হওয়া ম্যাচে গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছেন জীবন, সুফিলরা। কিন্তু এসব নিয়ে অন্তত ম্যাচ শেষে ভাবতে চাচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। গোল না পাওয়ার সমস্যাটা পুরনো বলে জানিয়েছেন তিনি। আর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার পেছনে গত ১২ মাসে দলের উন্নতির কথাই বলেছেন আলাদা করে।

    ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এশিয়ান গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন। ঘরের মাঠের সাফ আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি। তবে তার অধীনে আশা জাগানিয়া কিছু ম্যাচই খেলেছে বাংলাদেশ। মার্চে কম্বোডিয়ার বিপক্ষেও প্রীতি ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর লাওসের বিপক্ষে টানা দুই অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়, এরপর ঘরের মাঠে ড্র করে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব নিশ্চিত- উন্নতির দাবিটা ডে তাই করতেই পারেন।

    "শেষ কবে টানা তিন ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে আর ক্লিনশিটও রেখেছে? মনে করতে পারবেন না। এক বছর আগে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হত বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলবে, সেটা বিশ্বাস করত না অনেকেই। আমাদের কোনো সুযোগই ছিল না। একটা দল হিসেবে আওরা পরিশ্রম করেছি। গত ১২ মাসেরে উন্নতির ফল এটি।"

    বাংলাদেশ কোচ দলের রক্ষণ নিয়েও এক কথায় মন্তব্য করেছেন, "ফ্যান্টাস্টিক।"  জয়ের জন্য অবশ্য প্রথম লেগের পারফরম্যান্সটাই এগিয়ে রাখছেন তিনি। যদিও বার বার বলেছেন চারটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল তার দল, যেগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল। তবে পুরো প্রক্রিয়াটাই ডে দেখছেন একটা লার্নিং কার্ভ হিসেবে, "আমরা ৪টি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলাম। সেগুলো কাজে লাগানো উচিত ছিল। আপাতত আমরা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গিয়েছি, সেটা নিয়েই আমি খুবই খুশি। গোলের সমস্যাটা তো পুরনোই, আগে থেকেই ছিল। তাই কে গোল করতে পারল কী পারল না, সেসব আজ মাফ। আমি যতই প্রশংসা করি দলের, সেটা কমই হয়ে যাবে দিনশেষে। এই পুরোটাই আসলে একটা লার্নিং কার্ভের অংশ।"

     

     

    "প্রথম লেগে আমাদের ওদের মাঠে খেলতে হয়েছে। সেখানে বিমান যাত্রাতেও কিছুটা ঝক্কি পোহাতে হয়েছে ছেলেদের। প্রায় দশ ঘন্টা আটকে ছিলাম আমরা। এরপর সেখানে যেভাবে দল খেলেছে, আমার মনে হয় ওই ম্যাচটাই পার্থক্য গড়ে দিল টাইয়ে।"