'দর্শকের দুয়োতে চাপে পড়েছিল ব্রাজিল'
ঘরের মাঠে কোপার প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার দলগুলোর ভেতর সবচেয়ে পেছনে থেকে টুর্নামেন্টে খেলা বলিভিয়া। সাও পাওলোর সমর্থকরা তাই ব্রাজিলের থেকে আশাটা একটু বেশিই করেছিলেন। প্রথমার্ধে অবশ্য তাদের হতাশ করেছে ব্রাজিল, গোলশূন্যভাবেই শেষ হয়েছে ৪৫ মিনিটের খেলা। এই সময়ে বহুবার ব্রাজিলের ফুটবলারদের দুয়ো দিয়েছেন সমর্থকরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ফিলিপ কুতিনিয়োর জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই শুভ সূচনা করেছে সেলেসাওরা। ম্যাচের পর ব্রাজিল কোচ তিতে বলছেন, প্রত্যাশা বেশি থাকাতেই এমন দুয়ো; এতে খানিকটা চাপে পড়ার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি।
গ্রুপ ‘এ’ এর ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের প্রথমার্ধটা ভালো কাটেনি। কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারলেও একবারও বল জালে জড়াতে পারেননি সেলেসাও ফরোয়ার্ডরা। সাও পাওলোর দর্শক তাই ধৈর্যহারা হয়ে বহুবার দুয়ো দিয়েছে নিজেদের দলের ফুটবলারদেরই। বিরতির সময় যখন মাঠ ছাড়ছিল দুই দল, দুয়ো শুনতে শুনতেই ড্রেসিংরুমে যেতে হয়েছে ব্রাজিলকে।
তিতে বলছেন, সমর্থকদের এমন দুয়ো প্রভাব ফেলেছে তাঁর ওপরেও, ‘আমরা সবাই এটা অনুভব করেছি। তরুণ ফুটবলার, কোচ সবাই। যারা বড় ক্লাবে খেলে, তাঁরা জানে ভালো কিছু করতে না পারলে সমর্থকরা বুঝবে না, দুয়ো দিতেই থাকবে। যখন আপনি ব্যাকপাস করে ডিফেন্ডারকে দেবেন, সে আবার গোলরক্ষককে দেবে, তখন তো দুয়ো শুনতেই হবে!’
গোলের পর অবশ্য দর্শকের এই দুয়ো বদলে গেছে হাততালিতে। তিতে মনে করিয়ে দিলেন, ভালো খেললেই দুয়ো আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে, ‘আমাদের একটা ব্যাপার বুঝতে হবে, আমরা যদি আক্রমণে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারি, তাহলেই দর্শক হাততালি দেবে।’
পরের ম্যাচে বাহিয়াতে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। ব্রাজিল অধিনায়ক দানি আলভেজ মনে করেন, সাও পাওলোর মতো সেখানে এরকম দুয়ো শুনতে হবে না তাদের, ‘সাও পাওলোতে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কারণে এখানে অনেক ক্লাবের সমর্থকরা আসে, তাই ব্যাপারটা একটু জটিল হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামলেছি। এরকম অনেক মুহূর্ত ছিল যখন তিতের কথাও স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল মাঠ থেকে। বাহিয়াতে এমন থাকবে না, তাঁরা ব্রাজিল দলকে মিস করে। সেই মাঠের পরিবেশটাই অন্যরকম থাকবে, অনেক করতালি পাবো আমরা।’
আগামী ১৯ জুন গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নামবে ব্রাজিল।