চন্দরপল-শেওয়াগকে ছুঁয়ে ৬ হাজারি ক্লাবে সাকিব
৫ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ডাবল হয়ে গেছে কদিন আগেই। এই বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের ব্যাট এতো বেশি হাসছে, আরেকটি মাইলফলকও পেরিয়ে গেছেন। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার রান থেকে হয়ে গেছে সাকিবের। ১৯০ ইনিংসেই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ছয় হাজার রান হয়েছিল তামিমের। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, গত বছর জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ছয় হাজারি ক্লাবে ঢুকেছিলেন। সেজন্য তাকে খেলতে হয়েছিল ১৭৫ ইনিংস, পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন ইনজামাম, শেওয়াগদের।
সাকিব তখনও অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন। সেই সিরিজেই তিনে উঠে এলেন, ব্যাটিংয়ে সিড়ি নয়, একেবারে লিফটে ওপরে উঠতে শুরু করলেন। তখনও সাকিবের রান ছিল পাঁচ হাজারের কিছুটা বেশি, এরপর অবশ্য চোটের জন্য বাইরে চলে গেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনে ফিরে আবারও উজ্জ্বল, এরপর এশিয়া কাপে আবারও চলে যেতে হলো বাইরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে আবার ফিরলেন ব্যাটে, তবে তিন ব্যাট করা হলো না। সেটা হলো আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে, এরপর সাকিবের ইনিংসগুলো এরকম ৫৪, ৬১*, ২৯, ৫০*, ৭৫, ৬৪, ১২১।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সাকিবের রান ৩৮৪, বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও পেরিয়ে গেছেন।
তার আগে আপাতত ছয় হাজার রানের লক্ষ্যটা পেরিয়ে গেলেন। শিবনারায়ণ চন্দরপল, বীরেন্দর শেওয়াগ দুজনই ১৯০ ইনিংসে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন রেকর্ড। কুমার সাঙ্গাকারার লেগেছিল ১৯২ ইনিংস, সেখানে তার সঙ্গে আছেন উপুল থারাঙ্গা ও যুবরাজ সিংও। আর ১৯৩ ইনিংস নিয়ে কাছাকাছি আছেন গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার। আর সবচেয়ে কম ইনিংসে (১২৩) সেটি ছোঁয়ার রেকর্ড হাশিম আমলার। ছয় হাজারি ক্লাবে একজন প্রতিনিধিও বাড়বে বাংলাদেশের, এই ক্লাবে টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে (আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড বাদে) বাংলাদেশের চেয়ে শুধু ইংল্যান্ডই পিছিয়ে। অইন মরগান সেখানে ইংল্যান্ডের সবেধন নীলমনি। আর সবচেয়ে বেশি নয়জন করে আছেন ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার।