ইনজুরি কাটিয়ে পরের ম্যাচেই ফিরছেন এনগিদি
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র চার ওভার বল করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল লুঙ্গি এনদিগিকে। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে পরের তিন ম্যাচে আর খেলা হয়নি এই দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারের। আগামীকাল বার্মিংহামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে প্রোটিয়ারা। সেই ম্যাচে আগে ফাফ ডু প্লেসির দল পেল সুসংবাদ। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফেরার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এনগিদি।
হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে কবে ফিরবেন এনগিদি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচকে সামনে রেখে ফিটনেস টেস্টে উতরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এনগিদি নিজেই, ‘আমি এখন শতভাগ ফিট। এটাই ফিটনেস টেস্টের মূল বিষয়। কেউ যদি শতভাগ ফিট না হয় তাহলে সে ম্যাচ খেলতে পারবে না। এই টেস্টের সময় আমি প্রমাণ করেছি যে ম্যাচের পুরোটা সময় খেলা ও বোলিং করার মতো অবস্থায় আছি। ইনজুরির সময়টা কঠিন ছিল। বিশ্বকাপের ম্যাচ মিস করাটা হতাশার ব্যাপার। টিম ম্যানেজমেন্টের সবাই আমার পাশে ছিল।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে রান দিয়েছিলেন ৩৪। সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হারতে হয় প্রোটিয়াদের। এনগিদি মানছেন, সেদিন তাঁর ইনজুরি বড় প্রভাব ফেলেছিল দলের অন্য বোলারদের ওপর, ‘আমরা অনেক শর্ট লেন্থে বল করেছিলাম। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এটার সুযোগ নিয়েছে। আমি নিজের ১০ ওভার পূর্ণ করতে পারিনি। আমার ওভারগুলো অন্যদের করতে হয়েছে, এটা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে ম্যাচে। আমি দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। বাংলাদেশকে ৩০০ এর নিচে আউট করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত ছিল। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। সেদিন তাঁরা ভালো খেলেই জিতেছে।’
এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও হারেনি নিউজিল্যান্ড। কিউইদের মিডল অর্ডারকে ধসিয়ে দেওয়ার আশা এনগিদির, ‘এখন পর্যন্ত তাদের মিডল ও লোয়ার অর্ডারকে খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয়নি। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই বেশি রান করেছে। শুরুর দিকে দুই-এক উইকেট নিতে পারলে মিডল অর্ডার চাপে পড়বে। দ্রুত মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে নিয়ে আসতে পারলে আগের ম্যাচের চেয়ে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে।’