• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    কাতারকে 'অবৈধভাবে' বিশ্বকাপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্লাতিনি

    কাতারকে 'অবৈধভাবে' বিশ্বকাপ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্লাতিনি    

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কাতারের ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল বহু দেশেরই। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল, ফিফার কর্মকর্তারা অবৈধভাবে কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে সাহায্য করেছেন। মাঝে এই ইস্যু কিছুটা আড়ালে চলে গেলেও নতুন করে ফিরে এলো বিতর্কটি। কাতারকে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পথে অবৈধভাবে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নিষিদ্ধ থাকা সাবেক ইউয়েফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনিকে।

    ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ নির্বাচনের তখন কয়েকদিন বাকি। ২০১০ সালের নভেম্বরে প্লাতিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, তৎকালীন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও কাতারের বর্তমান আমির তামিম বিন হামিদের সাথে প্রেসিডেন্টের অফিসে লাঞ্চ করেছিলেন। প্লাতিনি জানিয়েছিলেন, কাতারের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়েই আলোচনা করেছিলেন সারকোজি। বিনিময়ে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পথে কাতারকে সমর্থন জানাবে ইউয়েফা ও ফ্রান্স, এমনটাই জানিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

    প্লাতিনি অবশ্য জানিয়েছিলেন, তিনি কাতারের পক্ষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়ে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হয় কাতারই। বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পরপরই কাতার ৫০ টি ফরাসি বিমানের অর্ডার করে। একই সাথে সারকোজির প্রিয় ক্লাব পিএসজিতেও টাকা ঢালেন তামিম বিন হামিদ।

    এই ঘটনায় দুই বছর আগে প্লাতিনির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় ফ্রান্সের আদালত। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই প্লাতিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে প্রেসিডেন্ট অফিসের সাবেক কর্মকর্তা ক্লদে গুয়ান্তকেও। 

    ২০১১ সালে ফিফা প্রেসিডেন্ট সেফ ব্ল্যাটারের থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ আছেন প্লাতিনি। শুরুতেই এই নিষেধাজ্ঞা আট বছরের হলেও সেটা কমিয়ে চার বছরের করা হয়েছে।