ক্লোসাকে পেছনে ফেলে মার্তার ইতিহাস
দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জয়ের বিকল্প ছিল না ব্রাজিলের সামনে। নারী বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে ৭৩ মিনিট পর্যন্ত গোলের দেখা পায়নি সেলেসাওরা, শঙ্কা জেগেছিল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের। ব্রাজিলের রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হলেন তাদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার মার্তা। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়। এই গোলে বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাসও গড়লেন মার্তা। বিশ্বকাপে তার মোট গোল ১৭টি, জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসাকে পেছনে ফেলে তিনিই এখন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২০০৩ সালে প্রথমবার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন মার্তা। সেবার তিন গোল করেন তিনি। ২০০৭ সালে নিজের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে মার্তা করেন ৭ গোল। গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল জিতলেও শেষ পর্যন্ত শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তার। ফাইনালে জার্মানির কাছে ২-০ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্রাজিলের। ফাইনালে মার্তা পেনাল্টি মিস না করলে হয়ত ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
২০১১ বিশ্বকাপে মার্তা করেন চার গোল, ব্রাজিল বিদায় নেয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। ২০১৫ বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোল করে নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন মার্তা। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই গোল করলেন তিনি। সব মিলিয়ে পাঁচ বিশ্বকাপে তার গোল ১৭টি। মার্তা পেছনে ফেলেছেন ১৬ গোল করা জার্মান স্ট্রাইকার ক্লোসাকে।
২০০৩ থেকে ২০১৯, এর মাঝে খেলা পাঁচ বিশ্বকাপের প্রতিটিতেই গোল করেছেন মার্তা। পুরুষ কিংবা নারী, বিশ্বকাপের ইতিহাসে পাঁচ আসরে গোল করা প্রথম ফুটবলার হলেন তিনি।
মার্তার গোলে আজ ইতালিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়েও তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে আছে তারা। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে ও হেড টু হেডে এগিয়ে আছে ইতালি ও অস্ট্রেলিয়া। তবে সেরা তৃতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে ব্রাজিল।
৩৩ বছর বয়সী মার্তার এটাই হয়ত শেষ বিশ্বকাপ। কখনোই বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা কি এবার ঘুচাতে পারবেন ‘স্কার্ট পরা পেলে’?