• বুন্দেসলিগা
  • " />

     

    বায়ার্ন ছেড়ে ডর্টমুন্ডে ফিরছেন হামেলস

    বায়ার্ন ছেড়ে ডর্টমুন্ডে ফিরছেন হামেলস    

    বায়ার্ন মিউনিখ এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডেই কাটিয়েছেন পুরো ক্যারিয়ার। বায়ার্নের যুবদল থেকে ডর্টমুন্ড, আবার বায়ার্ন- ম্যাটস হামেলসের ক্যারিয়ারে তাই পুরনো ক্লাবে ফেরাটা একরকম রুটিনই যেন হয়ে গেছে। হামেলসের 'হোমকামিং'-এর যাত্রায় যুক্ত হল আরও এক অধ্যায়। তিন বছর বায়ার্নে কাটিয়ে ৩৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ২০১৯-২০ মৌসুমে ডর্টমুন্ডে ফিরছেন তিনি, আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দুই ক্লাব।

    বুন্দেসলিগার শীর্ষ দুই দলের সাথে হামেলসের পথচলাটা শুরু হয়েছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। ১৯৯৫ সালে মাত্র ৭ বছর বয়সে বায়ার্নের একাডেমিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১২ বছর বায়ার্নের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলে ২০০৭ সালে ১৯ বছর বয়সে মূল দলে অভিষেক হয়েছিল তার। পরের বছরই হামেলসকে ধারে পাঠানো হয় ডর্টমুন্ডে। হামেলস নিজেকে প্রমাণ করতে পারায় বায়ার্ন থেকে তাকে পাকাপাকিভাবে কিনে নেয় ডর্টমুন্ড। এরপরের আট বছর ডর্টমুন্ডের হয়ে নিজেকে কিংবদন্তীতুল্য উচ্চতায় নিয়ে যান হামেলস।

    ডর্টমুন্ডের হয়ে ঐ আট মৌসুমে ম্যাচ খেলেছিলেন মোট ৩১০টি, ২০১০-১১ মৌসুমে ১০ বছর পর বুন্দেসলিগা শিরোপা জেতা ডর্টমুন্ড দলে ছিলেন তিনি। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনেই মূলত নিজের সেরা ফুটবলটা খেলেছিলেন তিনি। ২০১১-১২ মৌসুমে ডর্টমুন্ডের হয়ে জিতেছিলেন জার্মান লিগ এবং কাপ। ডর্টমুন্ডের হয়ে শিরোপা যেমন জিতেছেন, তেমনি পেয়েছেন শিরোপার দ্বারপ্রান্তে এসে হারার কষ্টও।

     

     

    ২০১২-১৩ মৌসুমে বায়ার্নের কাছেই ডর্টমুন্ডের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হেরেছিলেন হামেলস। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ডর্টমুন্ডের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৬-১৭ মৌসুমের আগে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে হামেলসকে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফিরিয়ে আনে বায়ার্ন। বাভারিয়ানদের হয়ে নিজের দ্বিতীয় অধ্যায়ে খেলা তিন মৌসুমে প্রতিবারই জিতেছেন বুন্দেসলিগা, একবার জিতেছেন জার্মান কাপ। কিন্তু বায়ার্ন, বরুশিয়া- কোনও ক্লাবের হয়েই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি তার। 

    ২০১৮-১৯ মৌসুমে বায়ার্নের চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে রানার্স-আপ হয়েছিল ডর্টমুন্ড। আগামী মৌসুমের জন্য দল গোছানো শুরু করে দিয়েছে তারা। চুক্তি নবায়ন করেছেন ম্যানেজার লুসিয়ান ফাভ্রে। দলে এসেছেন নিকো শুলজ, জুলিয়ান ব্রান্ডট এবং থরগান হ্যাজার্ডের মত প্রতিভাবান ফুটবলাররা।