উইলিয়ামসনের 'ওয়াক' না করার পক্ষে ডু প্লেসি
ফাফ ডু প্লেসি হয়ত ম্যাচের পর পুরোটা সময় জুড়ে একটা কথাই ভেবেছেন, কেনো ওই রিভিউটা নিলেন না তিনি! কেন উইলিয়ামসনের ওই রিভিউটা নিলেই যে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। বল উইলিয়ামসনের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপারের হাতে গেলেও আউট দেননি আম্পায়ার, রিভিউ না নেওয়ায় বেঁচে গেছেন কিউই অধিনায়ক, সেঞ্চুরি করেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। অনেকেই বলছেন, বিরাট কোহলির মতো উইলিয়ামসনেরও উচিত ছিল বল ব্যাটে লাগার পর নিজেই প্যাভিলিয়নে ফেরা। তবে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসি বলছেন, তাদের মতো উইলিয়ামসন নিজেও বুঝতে পারেননি বল ব্যাটে লেগেছে, এজন্যই ‘ওয়াক’ করেননি তিনি।
ইমরান তাহিরের ১০ম ওভারের শেষ বলটা উইলিয়ামসনের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের হাতে যায়। তাহির আপিল করলেও ডি কক কিংবা দলের অন্য কেউ আপিল করেননি। ডু প্লেসি রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই রিপ্লেতে দেখা যায়, বল উইলিয়ামসনের ব্যাট ছুঁয়ে ডি ককের হাতে গিয়েছে!
কেনো রিভিউটা নেননি ডু প্লেসি? ডু প্লেসি বলছেন, ডি ককের মতামতের ওপর ভরসা রেখেছিলেন বলেই এমনটা করেছিলেন, ‘আমরা আসলে বুঝতে পারিনি বলটা যে ব্যাটে লেগেছিল। ডি কক ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে কাছে থাকায় তার মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার মতো আমিও ভেবেছিলাম বল ব্যাটের পাশ দিয়ে চলে গেছে। পরে জানতে পেরেছি বল আসলে ব্যাটে লেগেছিল!’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলি যেভাবে নিজেই প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটেছিলেন, উইলিয়ামসনেরও সেটা করা উচিত ছিল। ডু প্লেসি অবশ্য উইলিয়ামসনেরই পক্ষ নিলেন, ‘উইলিয়ামসন আসলে বুঝতে পারেনি বল তার ব্যাটে লেগেছে। যদি আম্পায়ার তাকে আউট দিতেন, তাহলে সেও রিভিউ নিতো।’
উইলিয়ামসনকে ফেরানোর আরও সুযোগ নষ্ট করেছে প্রোটিয়ারা। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেই দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিতে ওঠার স্বপ্নটা কার্যত শেষ করে দিয়েছেন তিনি। ডু প্লেসি জানালেন, রিভিউ কিংবা বাজে ফিল্ডিং নয়, স্কোরবোর্ডে কম রান তোলাতেই এমন হার, ‘উইলিয়ামসনের ওই মুহূর্তের কারণে আমরা ম্যাচ হারিনি। আমাদের আরও ২০ রান বেশি করা উচিত ছিল। ফিল্ডিংয়ের কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছি। উইলিয়ামসন ওই মুহূর্তে আউট হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত এটা সত্যি। তবে সেটাই আমাদের হারের মূল কারণ না।’