• " />

     

    ফুরিয়ে যান নি 'ব্যাটসম্যান' মাশরাফি

    ফুরিয়ে যান নি 'ব্যাটসম্যান' মাশরাফি    

    এই বছরের এপ্রিলে হয়ে যাওয়া বিসিএল একদিনের টুর্নামেন্টটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। পুরো টুর্নামেন্টের সাতকাহন মনে না থাকুক, মাশরাফির একটি ইনিংস তো ভোলার কথা নয়। সেন্ট্রাল জোনের ২১৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে সাউথ জোন। আট নম্বরে নেমে কার্যত হেরে বসা ম্যাচটাই জিতে নিয়ে মাঠ ছাড়েন ‘ব্যাটসম্যান’ মাশরাফি। আরেক ‘টেল এন্ডার’ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে ৭৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাশরাফির অবদান ছিল ৩৩ বলে ৫০।

     

     

    প্রায় অনুরূপ একটা ইনিংসই বাংলাদেশ ক্যাপ্টেনের ব্যাটে আরও একবার দেখা গেলো আজ। তাঁর ক্যাপ্টেন্স নক ৩২ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম জয় পেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোহাম্মদ আমিরের ফুলার ডেলিভারি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে সীমানাছাড়া হতেই চিরচেনা ক্ষ্যাপাটে উদযাপন দেখা গেলো ‘পাগলা’র।

     

    চিটাগং ভাইকিংসের ছুড়ে দেয়া ১৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দেন কুমিল্লার দুই ওপেনার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস, ৯ রান করে তাঁর পিছু নেন লিটন দাসও। স্যামুয়েলস-শুভাগত জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটার পর ব্যাট হাতে নেতৃত্ব কাঁধে তুলে নেন মাশরাফি। উইকেটে যখন এলেন, কুমিল্লার তখন ওভারপ্রতি রান প্রয়োজন দশের উপর। শুরুটা সাবধানী হলেও ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন মাশরাফি। স্যামুয়েলসের সাথে চমৎকার বোঝাপড়ায় আপাত কঠিন হয়ে ওঠা লক্ষ্যটাই সহজ সমীকরণে পরিণত করেন। ৩০ বল মোকাবেলায় ক্যারিয়ারের প্রথম টিটোয়েন্টি অর্ধশতক তুলে নেয়ার পথে খেলেন ৩টি করে চার ও ছয়ের মার। জয়সূচক শেষ ৪ রানও তুলে নেন বাউন্ডারি হাঁকিয়েই। স্যামুয়েলসের ৫২ বলে করা ৬৯ রানের ইনিংসটি ছাপিয়ে ম্যাচসেরাও মাশরাফিই।

     

    ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্যাটিংয়ের হাতটা মন্দ ছিল না মাশরাফির। সেটা যে একেবারে ভুলে যান নি তাই যেন সময়ে সময়ে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। প্রথম ম্যাচে ২৫ রানের পর আজ ৫৬, রানের চাকাটা টুর্নামেন্টজুড়ে সচল থাকলে আগামী টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং অর্ডারে আরেকটু নির্ভরতার প্রত্যাশা করতেই পারে বাংলাদেশ।