আরও একটি প্রথমের কীর্তিতে সাকিবের সঙ্গী শুধু গেইল
রেকর্ডটা একটুর জন্য নাও হতে পারত। ২৭ রানের সময় রশিদ খানের বলটা লেগেছিল প্যাডে, আম্পায়ার আঙুলও তুলে দিয়েছিলেন। সাকিব একটু দোনোমোনো করেই রিভিউ নিলেন, দেখা গেল বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে গেছে। বেঁচে গেলেন সাকিব আল হাসান, খানিক পরেই মাইলফলকটা ছোঁয়া হলো তার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে ১ হাজার রান হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের।
আজকের ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে ৪২৫ রান ছিল সাকিবের। সামনে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার, ২৩ রান করে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তাকে। তবে বিশ্বকাপে ১ হাজার রানের জন্য দরকার ছিল আরও ৩৫ রানের। দওলত জাদরানের বলটা ডিপ স্কয়্যার লেগে ঠেলে দিয়ে সেটাও হয়ে গেল।
সাকিবের আগে বিশ্বকাপে অন্তত ১ হাজার রানের এই কীর্তি আছে আরও ১৮ জনের আছে। শচীন টেন্ডুলকার এখনও সেই তালিকায় সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে, তার পরেই আছেন রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা ও ব্রায়ান লারা। এবি ডি ভিলিয়ার্স আছেন পাঁচে, তার পর সনাৎ জয়াসুরিয়া ও জ্যাক ক্যালিস।
একটা জায়গায় এই তালিকায় অবশ্য শুধু একজন ছাড়া বাকিদের চেয়ে আলাদা। এই মুহূর্তে যারা ক্রিকেট খেলছেন, তাদের মধ্যে সাকিব ছাড়া আর মাত্র একজনেরই বিশ্বকাপে অন্তত ১ হাজার রান আছে। ক্রিস গেইলের রান ১১৩৮, কে জানে এই বিশ্বকাপেই হয়তো তাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন সাকিব।
বিশ্বকাপের শুরুটা সাকিবের বরাবরই দুর্দান্ত। ২০০৭ বিশ্বকাপে শুরুই হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেই ফিফটিতে। সেই বিশ্বকাপে আরও একটি ফিফটি করেছিলেন, সব মিলে ৯ ইনিংসে করেছিলেন ২০২ রান।
২০১১ বিশ্বকাপের শুরুটাও হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করে। পরের পাঁচ ইনিংসে অবশ্য আর কোনো ফিফটি করতে পারেননি, সব মিলে করেছিলেন ১৪২ রান। শুরুটা দারুণ হয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপেও, এই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৬৩। এরপর শ্রীলংকার বিপক্ষে ৪৬ ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করলেন অপরাজিত ৫২। তার পর কোনো ফিফটি পাননি, সেই বিশ্বকাপ শেষ করেছিলেন ১৯৬ রান নিয়ে।
তবে তিন বিশ্বকাপে যা রান করেছেন, এবার যেন সেটি একবারেই ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশন নিয়ে নেমেছেন। আজ ৫১ রান করে আউট হয়েছেন, এই বিশ্বকাপে রান হয়ে গেছে ৪৭৬। এক বিশ্বকাপে ৫০০ রানের মাইলফলকও দিচ্ছে হাতছানি।