ডু প্লেসিদের ইংল্যান্ডকে অনুসরণ করার পরামর্শ ক্যালিসের
পাকিস্তানের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। আগের সববারের মতো এবারও একরাশ হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে প্রোটিয়াদের। গতকালের ম্যাচের পর অধিনায়ক ডু প্লেসি নিজেই বলেছেন, তাদের এমন পারফরম্যান্স লজ্জাজনক। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস বলেছেন, পরের বিশ্বকাপে ভালো কিছু করতে হলে ইংল্যান্ডের পথ অনুসরণ করতে হবে।
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই টুর্নামেন্টের পর থেকেই ইংল্যান্ড দলে আসে আমূল পরিবর্তন। জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, জস বাটলারদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নতুন মাত্রা পায় ইংলিশ একাদশ। গত চার বছরে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশিবার ৩০০ রান পেরিয়েছে ইংল্যান্ডই। ঘরের মাঠে অইন মরগানের দলই বেশিরভাগ বিশ্লেষকের চোখে ফেভারিট।
ইংল্যান্ডের মতো বদলে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও, মানছেন ক্যালিস, ‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপের হতাশার পর ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড তাদের পুরো মানসিকতাই বদলে ফেলেছে। এখন তারা নির্ভীক ক্রিকেট খেলে। ভুল করতেও ভয় পায় না। আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকা একটু বেশিই রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে এই টুর্নামেন্টে। তাদের আরও ইতিবাচক হতে হবে।’
'নতুন' দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কি বর্তমান স্কোয়াডে বড় পরিবর্তন আনতে হবে? ক্যালিস অবশ্য এমনটা মানতে নারাজ, ‘খেলার ধরনে পরিবর্তন আনতে স্কোয়াডে নতুনত্ব আনার দরকার নেই। এখনো মরগান ইংলনাদের অধিনায়ক, চার বছর আগেও সে ছিল। একাদশের আমূল পরিবর্তন আনলেই হবে না। ক্রিকেটারদের আরও বেশি চিন্তা করতে হবে, মনযোগী হতে হবে। রাবাদা, এনগিদি, মার্করামের, ফেহলুকোয়াওর মতো তরুণ ক্রিকেটার আছে এই দলটায়, তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ।’
সঠিক পথে এগোলে ইংল্যান্ডের মতো অল্প সময়ের মাঝেই বদলে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট, বিশ্বাস ক্যালিসের, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা কেমন ক্রিকেট খেলছে সেটা নিয়ে আবে পর্যালোচনা করতে হবে। ইংল্যান্ড প্রমাণ করেছে মাত্র চার বছরের মাঝেই খেলায় আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব, যদি ঠিক পথে আগানো যায়।’