'এখনো এটা ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ'
বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রায় সবার মুখেই ছিল এক কথা, এবার ফেভারিট ইংল্যান্ড। সেই ইংল্যান্ডেরই কিনা সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে বেধেছে টানাটানি! শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে টানা দুই ম্যাচে হারায় বেন স্টোকসদের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা জেগেছে। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৪ রানের হারের পরও স্টোকস জানালেন, এখনো এটা ইংল্যান্ডেরই বিশ্বকাপ।
ভারত ও নিউজিল্যান্ডের সাথে দুটি ম্যাচ বাকি আছে ইংল্যান্ডের। ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয় পায়নি ইংলিশরা। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। পরের দুই ম্যাচের একটিতে হেরে গেলেই সেমিতে ওঠার সমীকরণটা নিজেদের হাতে থাকবে না অইন মরগানের দলের।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একাই লড়েছিলেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ফিরতে হয় তাকে, শেষ হয় ইংলিশদের প্রতিরোধও। স্টোকস এখনো বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, ‘এটা আমাদের বিশ্বকাপ। গত চার বছরে সবার দারুণ সমর্থনে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। সমর্থক ও ক্রিকেটারদের কাছে এই বিশ্বকাপের মূল্যটা অনেক। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার হওয়ার মতো বড় ব্যাপার আর কিছু নেই। বিশ্বকাপে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত আমি। আমরা পিছু হটতে চাই না। আগেও বলেছি এটা আমাদের বিশকাপ, আমরা যা করতে চাই সেটাই করে দেখাবো।’
শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচে স্টোকস করেছেন ৮২ ও ৮৯ রান। ঘরের মাঠে ২০১৫ সালের পর ওয়ানডে এই প্রথম টানা দুই ম্যাচ হারলেন তারা। দলের এমন পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ স্টোকস, ‘এভাবে হারাটা খুবই হতাশাজনক। নিজে রান পাওয়াতে ভালো লাগছে। কিন্তু দল না জিতলে সেটা একদমই বৃথা। শেষ দুই ম্যাচে আমাদের পুরনো রূপে ফিরতে হবে। দলে এরকম অনেক ক্রিকেটারই আছেন যাদের পারফরম্যান্সে দল পরের রাউন্ডে যেতে পারে।’
শেষ দুই ম্যাচের আগে যথেষ্ট সতর্ক স্টোকস, ‘এখন পর্যন্ত আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, শেষ দুই ম্যাচে সেটা একদমই ভিন্ন হতে পারে। নিজেদের পরিকল্পনা সাজানো আছে, সেটাকে মাঠে কাজে লাগাতে হবে। ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে আমাদের রেকর্ড দারুণ। কিন্তু তারা এবারের টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে আছে। তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে ভালো ফলাফল আসবেই।’