সমালোচকরা 'ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার অপেক্ষায় ছিলেন', বলছেন বেইরস্টো
ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সমালোচনাকারীরা ‘দলের ব্যর্থতার অপেক্ষায় ছিলেন, যাতে তারা সমালোচনা করতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন’ বলে মন্তব্য করেছেন ওপেনার জনি বেইরস্টো। ‘ইংল্যান্ডের যে কোনও খেলায় এটি নিয়মিত ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
৩০ তারিখ ভারতের বিপক্ষে প্রায় বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে দলের ব্যর্থতার সমালোচনাকারীদের একহাত নিয়েছেন বেইরস্টো। ইংল্যান্ডের অবস্থা এখন এমন, সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে বাকি দুই ম্যাচে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের। এর কম কিছু হলে তাদের চেয়ে থাকতে হবে অন্যদের ম্যাচের ফলের ওপর।
মূলত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসে হারের পর থেকেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রতি ছুটছে সমালোচনার তির। সাবেক ক্রিকেটার কেভিন পিটারসেন টুইট করেছেন, ইংলিশ অধিনায়ক অইন মরগান ভয় পেয়েছিলেন মিচেল স্টার্কের বলে মুখোমুখি হতে। আর সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বিবিসি রেডিওকে বলেছেন, “ইংল্যান্ডের অবস্থা বেশ টালমাটাল। আমি ভয়ঙ্কর কিছু বিশ্বকাপের অংশ ছিলাম। তবে তারা সতর্ক না থাকলে এটি ছাড়িয়ে যাবে সবকিছুকে।”
পিটারসেনের টুইটের ব্যাপার জিজ্ঞাসা করা হলে বেইরস্টো বলেছেন, “আমি এটা দেখিনি আসলে। আমি সকালে রেডিওতে গিয়েছিলাম। ভনের একটা ক্লিপ শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। ব্লাডি হেল!”
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে বোল্ড হয়ে ফিরছেন স্টোকস/আইসিসি
“এখন লোকে মতামত দিয়ে টাকা পায়, সুতরাং তাদের মত থাকবেই। আমরা যেহেতু অনেক ভাল করছিলাম, তাই আমাদের দুই ম্যাচ হারের সুযোগ নিতে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বেই (এটাই স্বাভাবিক)। লোকে অপেক্ষা করে ছিল, আমরা কখন ব্যর্থ হবো। তাদের আসলে আমাদের জয় দেখার ইচ্ছা নেই। অনেক দিক দিয়েই দেখলে ব্যাপারটা এমন যে, তারা অপেক্ষা করে থাকে কখন আপনি হারবেন, আর তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। এটা ইংলিশদের নিয়মিত ঘটনা, যে কোনও খেলার ক্ষেত্রেই।”
বেইরস্টো বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের পর লন্ডনের ট্যাক্সি ড্রাইভারও তাকে ভর্ৎসনা করেছেন, “আমি হেসেছি আসলে (এটা শুনে)। অবশ্যই মানুষ কথা বলবে নানা রকম। অবশ্যই বলবে। তবে সবাই এমনভাবে বলছে, যেন আমরা টেবিলে আট বা নয়ে আছি। কী আশ্চর্য! একটু শান্ত হোন। আপনারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন!”
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত উইকেট নিয়েও নিজের বিস্ময় লুকাননি বেইরস্টো। তার মতে, গত কয়েক বছর তারা যেমন উইকেটে খেলেছেন, বিশ্বকাপেও হওয়ার কথা ছিল তেমনই, “আমরা গত দুই বছর যেসব উইকেটে খেলেছি, বিশ্বকাপেও তেমনই হওয়া (উচিৎ ছিল)। কেন এসব বদলে গেছে, আমি জানি না।”
“আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে উইকেটে খেলেছি, সেটা চিরায়ত ওভাল উইকেট নয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেটায় খেলেছি, সেটাও চিরায়ত ট্রেন্টব্রিজ উইকেট নয়। সেদিন লর্ডসে যে উইকেটে খেললাম, সেটাও চিরায়ত লর্ডস উইকেট নয়। গত দুই বা এর বেশি বছর সময় ধরে আমরা যেসব উইকেটে খেলে আসছি, এগুলো তেমন নয়।
“অবশ্য এগুলো শুধু তথ্য। অজুহাত নয়। আমাদের ভাল খেলা উচিৎ ছিল ম্যাচ জিততে। আমরা সেটা জানি।”
দল বেশ সঙ্কটময় অবস্থায় থাকলেও তারা খেলার ধরন বদলে ফেলবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি, “আমাদের পদ্ধতি তো বদলাবে না। কে কোথায় কী বললো, তাতে আমাদের খেলার ধরন বদলাবে না। এই গ্রুপটা প্রায় তিন বছর একসঙ্গে খেলছে, এর বেশি যদি না হয়। শুধু দুইটা ম্যাচ হেরেছি আর লোকজন কথা বলছে বলে আমরা এটা বদলে ফেলব, ব্যাপারটা এমন নয়।”